সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ ভাঙচুরের প্রতিবাদে সোমবারকে (২৫ নভেম্বর) ‘মেগা মানডে’ ঘোষণা করেছেন এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে কলেজ দুইটিসহ ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এমন প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। সেই ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার সকাল ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজের গেটে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত কয়েক হাজার শিক্ষার্থী নিয়ে মাহবুবুর রহমান মোল্যা কলেজের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা। সেখানে অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরাও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সোমবার (২৫ নভেম্বর) ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নির্ধারিত সময়ের আগেই সোহরাওয়ার্দী কলেজের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের মুখে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান শোনা যায়।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত অনার্স প্রথম বর্ষের স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন ‘সুপার সানডে’ ঘোষণা করে আতর্কিত হামলা চালায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের নেতৃত্বে রাজধানীর ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকালের হামলার ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের নিজস্ব গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কারসহ ৫টি যানবাহন ভাঙচুর ও কলেজের গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ আলমারি ভেঙে নগদ অর্থও লুট করা হয় বলে জানায় কলেজ প্রশাসন। সোহরাওয়ার্দী কলেজের এই ন্যক্কারজনক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে আজকের এ বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী লিখন ইসলাম।