এক দশকে সীমান্তে ঝরেছে ৩শ’র বেশি প্রাণ,এটি স্থায়ী শত্রুতার প্রমাণ:নাহিদ

গত এক দশকে বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে তিনশোরও বেশি প্রাণ ঝরেছে উল্লেখ করে বিষয়টিকে স্থায়ী শত্রুতার একটি মারাত্মক প্রমাণ বলে আখ্যায়িত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যার মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নীতিগুলো লঙ্ঘন করে চলেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

পঞ্চগড় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আনোয়ার হোসেন নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাতে গিয়ে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এসব মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

পোস্টে মো. নাহিদ ইসলাম লিখেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে, বিএসএফ বারবার নিরস্ত্র বাংলাদেশি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে। এটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নীতিগুলোর স্পষ্ট লঙ্ঘন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি লিখেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সালের পর্যন্ত ৫২২ জন বাংলাদেশি বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩২৪ জনকে গুলি করে এবং অন্যদের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, আশ্চর্যজনকভাবে এই হত্যাকাণ্ডগুলো অবিচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৪টি, ২০২২ সালে ২৩টি এবং ২০২১ সালে ১৮টি হত্যাকাণ্ড রেকর্ড করা হয়েছে। এই মৃত্যুগুলো প্রায়শই চোরাচালান বা আত্মরক্ষার জন্য গুলি করা হয়েছে এমন দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এটি ২০১৮ সালের চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই চুক্তিতে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত ক্রসিং পরিচালনায় প্রাণঘাতী শক্তি এড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

এই চরম বাস্তবতা দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের দাবিকে ক্ষুণ্ন করে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, শুধুমাত্র গত এক দশকে সীমান্তে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এটি স্থায়ী শত্রুতার একটি মারাত্মক প্রমাণ। ভারত সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে যেন তার সীমান্ত বাহিনী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অমিতাভ-আমিরের গাড়ি চালিয়ে কর ফাঁকি, বিপাকে কেজিএফ বাবু Jul 24, 2025
img
ব্যাংকে নারীদের ছোট দৈর্ঘের পোশাক ও লেগিংস নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক Jul 24, 2025
img
যে কোনো সংকট ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে : টুকু Jul 24, 2025
img
স্লো ওভার রেটের নিয়ম পুনর্বিবেচনার দাবি স্টোকসের Jul 24, 2025
img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বেনাপোল চেকপোস্টে গ্রেফতার Jul 24, 2025
img
পায়ে আঘাত পেয়ে বাকি ম্যাচে অনিশ্চিত ঋষভ পন্ত Jul 24, 2025
img
হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করায় খালেদা জিয়াকে নেয়া হচ্ছে এভারকেয়ার হাসপাতালে Jul 24, 2025
img
ফুটসালে ফিরছেন কানাডা প্রবাসী রাহবার খান Jul 24, 2025
img
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ Jul 24, 2025
img
নারায়ণগঞ্জ হকার্স মার্কেট অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসক Jul 24, 2025
img
বরগুনায় সাবেক তিন এমপিসহ আ.লীগের ২৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা Jul 24, 2025
img
আগামীকাল এশিয়া কাপের ভাগ্য নির্ধারণ, রাতেই আসছে আফগানিস্তান Jul 24, 2025
img
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে চায় পাকিস্তান Jul 24, 2025
img
এক দশক পর মাঠে ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি Jul 24, 2025
img
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানালেন পা-ক প্রধানমন্ত্রী Jul 23, 2025
img
‘সাইয়ারা’র পুরো টিমকে শুভেচ্ছায় ভাসালেন আমির Jul 23, 2025
img
স্বল্প পরিসরে শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরছে মাইলস্টোন Jul 23, 2025
img
স্মোকড ইলিশ থেকে বাকলাভা,বাংলাদেশ-পাকিস্তানের নৈশভোজে আরও যা ছিল Jul 23, 2025
img
আমরা পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজাব: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী Jul 23, 2025
img
লিবিয়ায় ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী: আইওএম Jul 23, 2025