চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক বিভাগের দুই শিক্ষার্থীর ওপর রাতের আঁধারে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা হামলার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, নবীনরা ক্যাম্পাসে এসেছে মাত্র কয় মাস হলো অথচ গত রাতে নবীন দুজন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছেন৷ এভাবে তাদের কাছে ক্যাম্পাসকে সন্ত্রাসীর আঙিনা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই একটি গ্রুপ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানাচ্ছি, তাদেরকে দ্রুত শনাক্ত করে বিচার করুন।
ইসলামি ছাত্রশিবির চবি শাখার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আলি ওবায়দুল্লাহ বলেন, যারা নবীন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। এ ছাড়া নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে হামলা হয়েছে। যেখানে সবসময় প্রহরীরা থাকে। দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে কিন্তু প্রহরীরা তাদের ধরতে পারেনি।
ইসলামি ছাত্রশিবিরের মানবসম্পদ বিষয়ক উন্নয়ন সম্পাদক হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়ে সবকিছুই করছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। আমরা প্রশাসনকে বলব যে ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করুন।
হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পরেই আমাদেরকে এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি সচল ছিল না। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ৯০ টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আমরা সবগুলো ফুটেজ যাচাই করছি। অপরাধী যেই হোক তাকে রোববারের মধ্যেই শনাক্ত করার চেষ্টা করবো এবং আইনের আওতায় এনে অবশ্যই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করবো।
এর আগে, গতরাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সামনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল ইসলাম মহিব এবং নীরব আহমেদ গুপ্ত হামলার শিকার হন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ দুপুরে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার চেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি'র অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের চবি শাখা।