জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী মিশনের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টার্ক।
গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসের সুইস পর্বত শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের সাইডলাইনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় ভলকার টুর্ক বলেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে এটি বাংলাদেশ পক্ষের সঙ্গে শেয়ার করা হবে, যা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর থেকে করা হবে।
এ সময় ড. ইউনূস ইউএন মানবাধিকার দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
টুর্ক বলেন, ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও প্রায় একই সময়ের মধ্যে প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো একে অপরের পরিপূরক হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইউএন মানবাধিকার প্রধানের সাহায্য কামনা করেন। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে মিয়ানমার থেকে নতুন রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
সম্পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টুর্ক জানান, তিনি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন, যার মধ্যে ইউএনের বিশেষ দূত জুলি বিশপও আছেন।
ড. ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে একটি ইউএন-পর্যবেক্ষিত নিরাপদ অঞ্চল গঠনের আহ্বান জানান, যাতে নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যায়।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসন্ন উচ্চ-স্তরের সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করবে।
টুর্ক সম্মত হন যে, এমন একটি সম্মেলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি ফিরিয়ে আনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
টিএ/