মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও স্বীকৃতি ক্ষেত্রে আসছে পরিবর্তন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞায় এমন পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের বিদ্যমান তালিকাও যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি তালিকা থেকে ‘অমুক্তিযোদ্ধাদের’ নাম স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করে নিতে বলেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ইতিমধ্যেই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে ‘অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্তকরণ অভিযোগ ফরম’। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত ১১ বার বদলানো হয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও মানদণ্ড। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় সংযোজন-বিয়োজনও হয়েছে মোট সাতবার।
অবশ্য এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়রে উপদেষ্টা ফারুক ই আজম - বীর প্রতীক জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অনেকে চান, রণাঙ্গনে যাঁরা বন্দুক নিয়ে সশস্ত্র লড়াই করেছেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাত হবেন। অন্য যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, নানাভাবে অবদান রেখেছেন, তাঁরা আলাদাভাবে চিহ্নিত হবেন এবং সম্মানিত হবেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের সংশোধিত পরিপত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর যাঁদের বয়স ন্যূনতম ১২ বছর ৬ মাস ছিল এবং যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করতে পারেন। তবে, এর আগে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ছিল ১৩ বছর।
মুক্তিযোদ্ধার সর্বনিম্ন বয়স ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৮টি মামলা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে এখনও কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। উপদেষ্টা ফারুক ই আজম জানিয়েছেন, ১২ বছর ৬ মাসের কম বয়সী ২ হাজার ১১১ জন আছেন মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। যারা এ তালিকা থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। দুই ঈদে ১০ হাজার টাকা করে আরও ২০ হাজার টাকা ভাতা পান। এ ছাড়া বিজয় দিবসে ৫ হাজার ও বাংলা নববর্ষে ২ হাজার টাকা ভাতা পান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
টিএ/