আগামী মাসে কঠোর হরতাল সহ একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে সামনে আসছে আওয়ামী লীগ। ১ লা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নানা কর্মসূচীর কথা জানিয়েছে দলটি। লিফলেট বিতরণ, বিক্ষোভ মিছিল ও সর্বাত্মক হরতালের মত কর্মসূচী নিয়ে দেখা যেতে পারে দলটিকে। এমন সব কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে।
ক্ষমতা থেকে পতনের পর দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে থেকেই নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে দলটি। বলা যায় মোটামুটি আত্মগোপনে আওয়ামীলীগ। তবে, ফেসবুক পেজে কর্মসূচী ঘোষণার মাধ্যমে এবার সামনে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে দলটি। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি। এরপর, ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিল, ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতালের ডাক দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া পোষ্টে, আওয়ামীলীগ বর্তমান সরকারের আমলে ঘটা বেশ কিছু অসঙ্গতির কথাও তুলে ধরে। আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সমুন্নত রাখতে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার ব্যাপারেও অভিযোগ করা হয়। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ও অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়েছে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের কোথাও সক্রিয় কোন কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি দলটির। তবে হঠাৎ এমন হরতালের ডাক দেয়ায় আওয়ামীলীকে নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আলোচনা – সমালোচনা। এমনকি এ নিয়ে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বলেছেন, আওয়ামী লীগের পতাকাতলে ‘অবৈধ বিক্ষোভের’ সাহস দেখালে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
আদালতের রায়ে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ছাত্রলীগ। তাই, ধারনা করা হচ্ছে এধরনের কর্মসূচী নিয়ে তারা মাঠে নামলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়াও আওয়ামীলীগের প্রায় সকল নেতা কর্মী আত্মগোপনে থাকায় ঘোষিত কর্মসূচীর আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।
টিএ/