দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে দেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তৈরি পোশাক রফতানি আয় ১০.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৭৯ কোটি ৬৪ লাখ ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এ আয় ছিল ২ হাজার ৪২১ কোটি ৯৩ লাখ ডলার।

তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ৪ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ১১ দশমিক ০১ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এ আয় ছিল ১ হাজার ২৯১ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। এ ছাড়া ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে এ আয় ছিল ১ হাজার ১৩০ কোটি ১৪ লাখ ডলার।

এদিকে, সদ্যবিদায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৪ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩১৯ কোটি ১৪ লাখ ডলার। তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ১৫৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি ২৬ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৮০ কোটি কোটি ৫০ লাখ ডলার।

এমআর/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
টিকটক নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতা! Sep 16, 2025
img
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর Sep 16, 2025
img
আমাদের সার্বিক মূল্যস্ফীতি মোটামুটি স্থিতিশীল : অর্থ উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
আমার ধারণা জামায়াত একাত্তরের ভুল স্বীকার করে বিবৃতি দেবে : মাসুদ কামাল Sep 16, 2025
img
কাতারের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের Sep 16, 2025
img
বিচারপতির উপস্থিতিতে ৬ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ৯ জনের ভার্চুয়ালি হাজিরা Sep 16, 2025
img
এনবিআরে বড় রদবদল, দপ্তর বদলালো ১৮২ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার Sep 16, 2025
img

নুরাল পাগলার মাজারে হামলা

আদালতে স্বীকারোক্তি দিল ৮ আসামি Sep 16, 2025
img
ক্রীড়া কর্মসূচি প্রকল্পে বরাদ্দের টাকা বেহাত, দুদকের অভিযান Sep 16, 2025
img
দুই কোটি রুপি ও স্বর্ণসহ সরকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার Sep 16, 2025
img
২৬৬ কোটি টাকার ফাঁকিতে চাকরিচ্যুত ২ কর কর্মকর্তা Sep 16, 2025
img
কোনো ধর্মকে আলাদা করে দেখা যাবে না : প্রধান উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা চালু করল হাইকমিশন Sep 16, 2025
img
দুর্যোগের আগে সবার কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছাতে কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা Sep 16, 2025
img
বাংলাদেশকে টপকে জাহাজ ভাঙা শিল্পের শীর্ষে উঠতে চায় ভারত Sep 16, 2025
img

জোহরান মামদানি

‘পেনশন তহবিলের টাকা ইসরায়েলি বন্ডে বিনিয়োগ করা উচিত নয়’ Sep 16, 2025
img
ভাঙ্গায় সড়ক ও রেলপথে যান চলাচল স্বাভাবিক Sep 16, 2025
img
মবের মুল্লুক নামে আরো একটি কুখ্যাত বাগধারার কবলে পড়েছে দেশ: গোলাম মাওলা রনি Sep 16, 2025
img
নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন ট্রাম্প Sep 16, 2025
img
ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা Sep 16, 2025