এবার ঘিবলীতে মেতেছেন টেন্ডুলকার-নেইমারও

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এক্সের নিউজফিডে এখন স্টুডিও ঘিবলির জয়জয়কার। প্রতি স্ক্রলেই নিদেনপক্ষে একটা করে এআই জেনারেটেড ছবি দেখা যাচ্ছে ফিডে। চ্যাটজিপিটি বা গ্রককে একটা ছবি দিয়ে ঘিবলির মতো ছবি বানিয়ে দিতে বললেই কেল্লাফতে! 

সহজলভ্য বলে ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন সবাই। তারকারাও এ ট্রেন্ড থেকে দূরে থাকেন কী করে? এ ট্রেন্ডে যোগ দিয়েছেন ফুটবল তারকা নেইমার থেকে শুরু করে ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা শচীন টেন্ডুলকারও।

শচীন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে জানালেন বিষয়টা। তিনি ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘এআইয়ের কিছু একটার ট্রেন্ড চলছে শুনলাম। তো ভাবলাম, কী হতো ঘিবলি যদি ক্রিকেট (নিয়ে সিনেমা) বানাত?’ সেখানে জুড়ে দিয়েছেন দুটো মুহূর্ত। একটায় তিনি চড়ে রয়েছেন সতীর্থদের কাঁধে। অন্যটায় তার হাতে শোভা পাচ্ছে মহামূল্য বিশ্বকাপটা।

শচীনের জীবনও কি ঘিবলির সিনেমার চেয়ে কম আকর্ষণীয়? ১৬ বছর বয়সে অভিষেক তার। এরপর থেকে একের পর এক বিশ্বকাপ খেলেই গেছেন। রানের পর রান করেছেন। ২০০৩ সালে রেকর্ড ৬৭৩ রান করে দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন। তবে টুর্নামেন্টটা শেষমেশ ভারত জিততে পারেনি। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বসেছিল সৌরভ গাঙ্গুলির দল। সেবার অবশ্য টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন শচীন।

তবে তার মনে গেঁথে আছে ২০১১ সালের ওই দৃশ্যই। সেবারও তার ব্যাট হেসেছে। তবে ২০০৩ সালের মতো করে নয়। এমনকি টুর্নামেন্ট সেরাও হননি তিনি। এরপরও তার কাছে সবচেয়ে দামি ওই মুহূর্তগুলোই। দলীয় অর্জনের বিষয়টাই যে এমন!

ফুটবল ভুবনের তারকা নেইমারেরও মনে গেঁথে আছে আরও এক দলগত শিরোপার মুহূর্তই। তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় দলগত শিরোপা জেতার মুহূর্তটা এসেছিল ২০১৫ সালে। বার্সেলোনাকে তিনি সেবার জিতিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। আশ্চর্য হলেও সত্য, নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় দলগত অর্জন হয়ে আছে ওই শিরোপাটাই।

নেইমার যখন ঘিবলির ট্রেন্ডে গা ভাসালেন, তখন তার কাছে বড় হয়ে এল ওই মুহূর্তটাই। শিরোপা জয়ের পর ‘হান্ড্রেড পারসেন্ট জিসাস’ হেডব্যান্ড পরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফিটা হাতে নিয়ে হাঁটু গেড়ে তিনি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন, সেটারই ঘিবলি সংস্করণ তিনি পোস্ট করেছেন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে।

সঙ্গে আরও একটা মুহূর্ত তিনি পোস্ট করেছেন। সে বছরের শুরুর দিকে মেসি আর সুয়ারেজের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদযাপনের মুহূর্তটা বেশ বিখ্যাতই হয়ে আছে। সেটাও উঠে এল নেইমারের স্টোরিতে। খেলোয়াড়ি জীবনে নেইমার খেলেছেন সান্তোস, পিএসজি, আল হিলালের মতো দলেও। তবে তার মনে যে বড় হয়ে আছে বার্সেলোনার ওই চার বছরই, সেটাও যেন এই ঘিবলি সংস্করণের ছবি স্টোরিতে দিয়ে জানিয়ে দিলেন নেইমার।

এসএম

Share this news on: