বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গেলেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোক বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
অমিত শাহ বলেন, পশ্চিবঙ্গ সরকারকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪০০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার বসানোর জন্য দশবার বলেছি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব ও মুখ্য সচিবের সঙ্গে সাতবার বৈঠক করেছি। তার পরও তারা জমি দেয়নি। যেখানেই কাঁটাতার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়, সেখানেই রাজ্য শাসকগোষ্ঠীর লোকেরা গণ্ডগোল পাকায়।
তিনি আরও বলেন, ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা। তার মধ্যে ১ হাজার ৬৫৩ কিলোমিটারে কাঁটাতার বসানো হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে ৫৬৩ কিলোমিটার অঞ্চল। এর মধ্যে আবার ১১২ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে নদী-নালা বয়ে চলেছে। এসব এলাকায় কাঁটাতার বসানো অসম্ভব হলেও বাকি ৪০০ কিলোমিটারে বেড়া দেওয়া যাবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ইঙ্গিত করে করে তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনেক দরদ। তাই তারা সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে দিচ্ছে না। ২০২৬ সালে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এই বকেয়া কাজ শেষ করবে। আসামে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল, তখন ওই এলাকা থেকে রোহিঙ্গা ঢুকত, এখন পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকছে।
তাই, অভিবাসী নিয়ন্ত্রণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ধাঁচে ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স বিল, ২০২৫’ পাস করে মোদি সরকার।
লোকসভায় ওই বিলের ওপর আলোচনায় অমিত শাহ জানান, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যাদের হুমকি বলে মনে করা হবে, তাদের কোনোভাবেই দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এফপি/এস এন