টলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় খল অভিনেতা বিপ্লব চ্যাটার্জি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বিনোদন জগতের বর্তমান চালচিত্র নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, যা আবারও উসকে দিয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পের ভেতরের কোন্দল ও পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা। বিপ্লব চ্যাটার্জি অভিযোগ করেছেন, কাজ ফুরিয়ে গেলে তার খোঁজ আর কেউ রাখেন না।
বিপ্লব চ্যাটার্জি জানান, তার জন্মদিন আর বছরের অন্য দিনগুলোর মধ্যে এখন আর তেমন কোনো পার্থক্য নেই। একসময় যখন তিনি নিয়মিত অভিনয় করতেন, তখন অন্তত জন্মদিনে শুভাকাঙ্ক্ষীদের ফোন আসত। কিন্তু এখন সে সব বন্ধ। এমনকি কাজের প্রয়োজনে বা কুশল জানতেও কাউকে ফোন করলে তারা ফোন ধরেন না।
তার কথায়, ‘কাকে ছেড়ে কার নাম বলব? বছর দুয়েক আগে এক নামজাদা পরিচালকের সিরিজে অভিনয় করলাম। কাজ যতক্ষণ করেছি ততক্ষণ কত কথা। ইদানীং ফোন করলে ধরেন না তিনি। কাজ ফুরালো তো কথাও ফুরালো।’
বিপ্লব চ্যাটার্জি স্মরণ করিয়ে দেন কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের কথা। তিনি বলেন, ‘আগে এমনটা ছিল না স্বয়ং সত্যজিৎ রায় শেষ দিন পর্যন্ত নিজে ফোন ধরতেন। নিপাট ভদ্রলোক ছিলেন আমি অবশ্য অভ্যস্থ হয়ে উঠেছি। বুঝেছি, এটাই রীতি এখন আর গায়ে মাখি না কারণ সবাই মুরুব্বি। শরীর আমার আগের থেকে ভালোই। বয়স হয়েছে, টুকটাক অসুস্থতা থাকবেই।’
‘অনেক দিন অভিনয়ে নেই। দিন কাটে বই, খবরের কাগজ পড়ে। কখনও হয়তো বন্ধুরা আসেন। আর গিন্নি আছেন। তার সঙ্গে ঝগড়া করতে করতে কেটে যায়। জন্মদিনে তিনি নিজের হাতে পাঁঠার মাংস, পায়েস রাঁধেন। রান্নার দিদি দুর্দান্ত ডিমের ডেভিল বানান। এ দিন ওটাও পাতে থাকে।’
বিপ্লবের ভাষ্যে, ‘কেন আমায় অভিনয়ে ডাকা হয় না, জানি না। আমার অভিজ্ঞ চোখ অনেক কিছু বুঝে ফেলবে, তাই? জানি না। তবে টলিউডের পরিবর্তন ঘরে বসেই চোখে পড়ে। কত দলাদলি, রাজনীতি। প্রত্যেকে অর্থলোভী। কাজের মান কমতে কমতে কোথায় নেমেছে।’
এসএন