যুক্তরাষ্ট্র সফরে কি ট্রাম্পের তিরস্কার শুনলেন নেতানিয়াহু?

লম্বা তালিকা নিয়ে তড়িঘড়ি করে যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই তালিকার ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ ছিল তেল আবিবের। নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা থেকে বিরত রাখতে হলে সামরিক চাপ সবচেয়ে ভালো উপায়।

ইসরায়েল গত বছর সরাসরি ইরানে হামলা চালালেও দেশটি ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে পারেনি। কারণ, এ জন্য দরকার মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহায়তা। এই সহায়তা চেয়ে ট্রাম্পের সামনে হাজির হয়েছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।

কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- ইরান আলোচনায় রাজি না হলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। একই দিন তিনি এও ঘোষণা দিয়ে বসলেন, এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান আলোচনায় বসছে।

এতে নেতানিয়াহুর চেহারাটা কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের ইয়েদিয়ত আহরোনোত দৈনিকের বিশ্লেষক নাদাভ ইয়াল। এই বিশ্লেষক আরও বলেন, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, দুই মাস আগে তার ওয়াশিংটন সফরের কথা চিন্তা করলে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে অনেকটা খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে। ওভাল অফিসে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নেতানিয়াহু তার বিশেষ অগ্রাধিকার নীতি নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হয় তিরস্কার শুনেছেন, নয় তো তার নীতির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণের কথা শুনেছেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর বৈঠক হয়। ওভাল অফিসে নেতানিয়াহুকে আতিথ্য দেওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে আপনার (নেতানিয়াহুর) যেকোনো সমস্যা থাকলে, আমি মনে করি আমি সমাধান করতে পারি। আমি বলতে চাইছি, যতক্ষণ আপনি যুক্তিসঙ্গত থাকবেন ততক্ষণ আমি আছি। আপনাকে যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। আমাদের যুক্তিসঙ্গত হতে হবে।’

নেতানিয়াহুর উদ্দেশে একটি ডাকনাম ব্যবহার করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনি জানেন- তুরস্ক এবং তাদের নেতার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, আমরা সব সমাধান করতে সক্ষম হব। তাই আশা করি, কোনো সমস্যা হবে না। আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে।’

এফপি/এস এন

Share this news on:

সর্বশেষ