উত্তরায় নকশা না মানা নির্মাণাধীন ভবনের অংশ ভেঙে দিচ্ছে রাজউক

উত্তরায় নকশা না মানা নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান পরিচালনা করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অভিযানে নকশা না মেনে যেসব নির্মাণাধীন ভবন নকশার বাইরে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছে, সে অংশগুলো ভেঙে দিচ্ছে রাজউক।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরপর উত্তরা সংলগ্ন রানাভোলা এলাকার প্রধান সড়কেও অভিযান পরিচালিত হবে।

অভিযানে অংশ নেওয়া রাজউকের উপ-পরিচালক লিটন সরকার বলেন, আমরা এই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছি। এখানে প্রথমে দেখা হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনগুলো নকশা মেনে কাজ করছে কিনা। সেখানে যদি দেখা যাচ্ছে তারা নকশা বহির্ভূত অংশেও স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছে, সেগুলো আমরা ভেঙে দিচ্ছি, পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি। এরইমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি ভবনে এমন অভিযান পরিচালনা করছি। এটি আমাদের নিয়মিত অভিযান, এখানে রাস্তার জায়গা না রেখে বা দখল করে ভবন নির্মাণ হলে আমারা সেই অংশও ভেঙে দিচ্ছি।

রাজউকের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মারুফ বলেন, আজ রাজউক ২টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, রানাভোলা প্রধান সড়ক ও উত্তরার ১০ নং সেক্টর সংলগ্ন এলাকায় রাজউকের অভিযান পরিচালনা করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার, অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী আবিল আয়াম, সহকারী অথরাইজড অফিসার মো. ইলিয়াছ মিয়া, ইমারত পরিদর্শক রয়েছেন মুরাদ হোসেন।

এর আগে রোববার বনশ্রীতে রাজউকের জোন ৬ ও জোন ৮ এর আওতাধীন এলাকায় দুটি পৃথক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে রাজউক। এ সময় সর্বমোট ৭ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৬টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে রাজউক এর জোন ৬/১ এর আওতাধীন দক্ষিণ বনশ্রী, খিলগাঁও এলাকায় সর্বমোট ১৫টি নির্মাণাধীন ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

এসময় ভবন নির্মানে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ১২টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং রাজউকের অনুমোদিত নকশার থেকে ব্যত্যয় করা অংশ অপসারণ করা হয়। ভবনগুলোর মালিকদের সর্বমোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ভবন মালিকদের কাছে থেকে ভবন নির্মাণে অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা আদায় করা হয়।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্গাপূজায় ৩ দিনের সরকারি ছুটির দাবি হিন্দু মহাজোটের Sep 19, 2025
img
আজ মিলাদ পড়ে নির্বাচনী বিসমিল্লাহ করবেন ওসমান হাদি Sep 19, 2025
img
৭৫তম জন্মদিনে শাবানা আজমি, পার্টিতে নাচলেন রেখা-মাধুরীর সঙ্গে Sep 19, 2025
img
দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই এখন সবচেয়ে জরুরি : দুদু Sep 19, 2025
img
চট্টগ্রামে মার্কিন সেনা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে : রনি Sep 19, 2025
img
অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন ট্রাম্প-মেলানিয়া Sep 19, 2025
img
চাঁদে নাম পাঠানোর সুযোগ দিচ্ছে নাসা Sep 19, 2025
img
আবারও ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ জয়ী হলেন তানজিয়া মিথিলা Sep 19, 2025
img
একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধনে ক্ষতি ১৪৬ কোটি টাকা Sep 19, 2025
img
ঐকমত্যের মাধ্যমেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব : বদিউল আলম Sep 19, 2025
img
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘চোর’ আসছে ইউটিউব চ্যানেলে Sep 19, 2025
img
মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার মাজার ভাঙচুরের ঘটনায় ২২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা Sep 19, 2025
img
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে অবরোধ Sep 19, 2025
img
নীল নদের পানি নীল নয়, জামায়াতও ইসলাম নয়: হাফিজ ইব্রাহিম Sep 19, 2025
img
এবার ২-১ ব্যবধানে ভারতকে হারাল বাংলাদেশ Sep 19, 2025
img
দীর্ঘ বিরতি শেষে ব্যান্ড সিক্সের জমকালো প্রত্যাবর্তন Sep 19, 2025
img
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে ফের এপিবিএন Sep 19, 2025
img
বিমানবন্দর এলাকায় সিমেন্ট ভ্যানের ধাক্কায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত Sep 19, 2025
img
দেশকে নির্বাচনের রাস্তায় নিলে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে: শামসুজ্জামান দুদু Sep 19, 2025
img
প্রথম ৬ মাসে লক্ষাধিক বিদেশিকে ওয়ার্ক পারমিট দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া Sep 19, 2025