দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালত স্থাপনের পদক্ষেপ

দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। সে রোডম্যাপে প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন যে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। যুগ্ম জেলা জজ হতে জেলা জজ পর্যন্ত এ সংস্কার আনতে হবে।

প্রধান বিচারপতির ঘোষিত রোডম্যাপে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপনের অংশ হিসেবে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে জেলা আদালত ও সেশনস ডিভিশন পৃথককরণ এবং সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃজনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক একটি পত্র আজ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেওয়ানি মামলা ও ফৌজদারি মামলার বিচার্য বিষয়, এজলাসের ধরন ও সাক্ষীর প্রকৃতি ভিন্ন। যার ফলে এ ধরনের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকের গভীর মনোনিবেশ প্রয়োজন হয়। তথাপি, দেশের অধস্তন আদালতসমূহে বর্তমানে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি আপিল, দেওয়ানি রিভিশন, ফৌজদারি আপিল, ফৌজদারি রিভিশনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষ আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এর ফলে বিচারকের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রত্যাশিত মামলা নিষ্পত্তি কার সম্ভব হচ্ছে না।

যার ফলে মামলা জট ও দীর্ঘসূত্রিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য পৃথক এখতিয়ার প্রয়োগের সুবিধার্থে এবং মামলা জট নিরসনের নিমিত্ত বিচার বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করে পৃথক আদালত স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃজন করার প্রয়োজনীয়তা থেকেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বর্তমান সরকারের সময়ে এখন পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছে: মির্জা ফখরুল Jul 14, 2025
img
প্রতীক হিসেবে থাকছে ‘নৌকা’, তালিকায় যুক্ত হচ্ছে না ‘শাপলা’ Jul 14, 2025
img
ইতিহাস গড়ার পথে পিএসজি, মৌসুমের দ্বিতীয় ট্রফির জন্য লড়ছে চেলসি Jul 14, 2025
img
আবু সাঈদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীরশ্রেষ্ঠ: আসিফ নজরুল Jul 14, 2025
সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযানে নামছে সরকার Jul 14, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Jul 14, 2025
'৪ হাজার ৯৭৮ জন হাজিকে উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে' Jul 14, 2025
চেকপোস্ট দেখে পালানোর চেষ্টা, দৌড়ে ধরলেন র‍্যাব কর্মকর্তা Jul 14, 2025
img
হৃদয় আর লিটনের পার্টনারশিপটা তখন খুব দরকার ছিল: শামীম Jul 14, 2025
img
কোটা ব্যবস্থা নিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন আসিফ নজরুল Jul 14, 2025
img
তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি, বিএনপির মশাল মিছিল Jul 14, 2025
img
স্টেডিয়ামে সাকিবের প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিসিবির মন্তব্য Jul 13, 2025
img
আবারও খালেদের ৪ উইকেট, গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুরের নাটকীয় জয় Jul 13, 2025
img
ঝালকাঠিতে এনসিপির জুলাই পদযাত্রায় বৈষম্যবিরোধীদের বাধা Jul 13, 2025
img
এনসিপির কমিটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপেক্ষার অভিযোগ Jul 13, 2025
img
৮৩ রানে জয়ের পর লিটনের অভিব্যক্তি Jul 13, 2025
img
পাকিস্তানে ৫ আগস্ট দেশব্যাপী বড় বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে পিটিআই Jul 13, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে ৮৩ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ Jul 13, 2025
img
কমলো ডলারের দাম বিপরীতে বেড়েছে টাকার মান Jul 13, 2025
জুলাই স্মরণে আক্ষেপে ভাসালো রিকশা চালক! Jul 13, 2025