মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিলুপ্তপ্রায় গন্ধগোকুলের তিনটি বাচ্চা উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। সোমবার (২১ এপ্রিল) বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জারড ওয়াইল্ডলাইফের (সিউ) সহায়তায় উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ এলাকা থেকে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগের ফরেস্ট স্কাউট মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ মো. তাজুল ইসলাম গন্ধগোকুলের শাবক তিনটি উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করে জানান, বড়চেগ এলাকার একটি বাড়িতে গন্ধগোকুলের বাচ্চাগুলো আটকানোর খবর পেয়ে তারা টিমসহ সেখানে যান।
তিনি বলেন, রোববার তিনটি বাচ্চা নিয়ে মা গন্ধগোকুল নিজ বাসস্থান থেকে বের হয়ে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাড়িতে কবুতর ও কোয়েল পাখির খামার থাকায় গন্ধগোকুলগুলো সেখানে আক্রমণ করে। পরে বাড়ির লোকজন বাচ্চা তিনটিকে আটকে ফেললেও মা গন্ধগোকুলটিকে আটকাতে পারেনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, আজ সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে গন্ধগোকুলের বাচ্চাগুলোকে মায়ের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু কবুতর ও কোয়েল পাখির 'ক্ষতি করে বলে' ওই বাড়ির সদস্যরা চায়নি। পরে আমরা তিনটা বাচ্চা উদ্ধার করে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানেরর জানকিছড়া ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টারে রেখেছি পরিচর্যার জন্য। কিছুদিন পরিচর্যার পর একটু বড় হলে বাচ্চাগুলো লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এনডেঞ্জারড ওয়াইল্ডলাইফের সহপ্রতিষ্ঠাতা সোহেল শ্যাম বলেন, একটি ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া পোস্টে শাবক তিনটি আটকানোর খবর দেখে তারা বন বিভাগকে জানান। তারপর বন বিভাগের সঙ্গে মিলে শাবকগুলো উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রাণীগুলোকে উদ্ধার করি। গন্ধগোকুলের ছানা তিনটির বয়স এক মাসের কিছু বেশি। এ কারণে বাচ্চাগুলোকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে পরিচর্যার জন্য। ছানাগুলো একটু বড় হলে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে।
এফপি/টিএ