বরগুনায় চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা

বরগুনার বেতাগী উপজেলায় চাঁদাবাজির মামলায় বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে বেতাগী থানা পুলিশ। 

গ্রেফতার ওই নেতার নাম শাহ জামাল মিন্টু ওরফে মিন্টু আকন (৪৮)। তিনি পৌর বিএনপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক।

গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান।

জানা যায়, খোকন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বরগুনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ অভিযোগে মিন্টু আকনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বাদী খোকন খোকন হাওলাদার বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সত্তার হাওলাদারের ছেলে।

মামলার ১নং আসামি হলেন- বেতাগী পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের (আবু খা) ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. নেছার উদ্দিন খান (৪৫)। ২নং আসামি হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের পান্না হাওলাদারের ছেলে পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মিন্টু হাওলাদার এবং ৩নং আসামি হলেন- ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুযফফর আকনের ছেলে পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ জামাল মিন্টু।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪-৫ ধারায় মামলাটি বরগুনা আদালতে দায়ের করেন মামলার বাদী খোকন। ২২ এপ্রিল মামলার কপি থানায় আসলে আদালতের নির্দেশে বেতাগী থানায় তা নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি নিয়মানুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৫ টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়ে ১ বছরের জন্য বেতাগী পৌরসভা টেম্পুস্ট্যান্ড ইজারা পান বাদী খোকন হাওলাদার। গত ১৩ এপ্রিল বেতাগী পৌরসভা থেকে ইজারার কার্যাদেশ জারি করা হলেও ইজারা না পাওয়া ১ নম্বর আসামি নেছার খানের নেতৃত্বে ২ ও ৩ নম্বর আসামিসহ অন্যান্য ৫-৬ জন আসামিকে সঙ্গে নিয়ে খোকন হাওলাদারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে হুমকি-ধামকি দুই লাখ টাকা চাঁদাদাবি করেন এবং পরের দিন থেকে জালিয়াতিভাবে রসিদ তৈরি করে নিজস্ব লোকজন নিয়ে বেআইনিভাবে টোল আদায় করে আসছিলেন।

বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় জানালে তারা নেছার উদ্দিনকে বারবার বারণ করা সত্ত্বেও নেছার খানকে তার কার্যক্রম থেকে ফেরাতে না পেরে আদালতের শরণাপন্ন হন বাদী খোকন হাওলাদার।

মামলার বাদী খোকন হাওলাদার বলেন, মামলার ১ নম্বর আসামি নেছার উদ্দিন যে রসিদ ব্যবহার করছেন তা জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি এবং এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এর প্রতিবাদে আমরা আগেও মানববন্ধন করেছি।

অভিযুক্ত ১ নম্বর আসামি নেছার উদ্দিন খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বৈধভাবে ইজারার চার ভাগের এক ভাগ মালিক। আমার অংশে আমি নিয়মমাফিক রসিদ দিয়েই টাকা নিচ্ছি।

বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ূন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আমিও শুনেছি পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নেছার উদ্দিন খান ইজারা না পেয়ে অবৈধভাবে টোল আদায় করেছেন। এ বিষয়ে খোকন হাওলাদার নেছারসহ তার সঙ্গের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ব্যক্তি অপরাধের দায় দল নেবে না।

বেতাগী থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা মিন্টু আকনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

 আরএম/টিএ



Share this news on: