সম্পর্কটা হয়তো আরো দীর্ঘ হতো। কিন্তু একটা ধাক্কা সব শেষ করে দিল। তাই লেস্টার সিটির সঙ্গে সম্পর্কটা ছিন্নই করতে হচ্ছে জেমি ভার্ডিকে। দীর্ঘ ১৩ বছরের পথচলা থামানোর ঘোষণা আজ দিয়েছেন ক্লাবটির কিংবদন্তি।
প্রিমিয়ার লিগ থেকে লেস্টার সিটির অবনমন হওয়ার পরেই এই ঘোষণা দিলেন ভার্ডি। মৌসুম শেষেই প্রিয় ক্লাব ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন ৩৮ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই সামাজিক মাধ্যমের এক ভিডিও বার্তায় অধিনায়ক বলেছেন, ‘হতাশা নিয়েই লেস্টার সিটির ভক্তদের জানাচ্ছি যে, দিনটা আজ এসে গেছে। যদিও আমি জানতাম কোনো একদিন আসবেই।
অবশেষে দিনটি এসেই গেছে। যা মনে করে আমি বিধ্বস্ত। তবে মনে করি, বিদায় বলার এটাই সঠিক সময়।’
বিদায় বেলায় লেস্টার সিটিতে কাটানো মুহূর্তগুলো স্মরণ করেছেন ভার্ডি।
সঙ্গে জানিয়েছেন, ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হলেও সব সময় লেস্টার তার হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় থাকবে। ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘ক্লাবের হয়ে কাটানো ১৩ বছর অবিশ্বাস্য ছিল। অনেক উত্থানের সঙ্গে পতনও ছিল। তবে সাফল্যের হারই বেশি। আমাদের হৃদয়ের বিশাল এক জায়গাজুড়েই থাকবে লেস্টার।
২০১২ সালে লেস্টারে যোগ দেন ভার্ডি। যোগ দেওয়ার ৪ বছরের মাথায় ইতিহাসের সাক্ষী হন তিনি। ক্লাব ইতিহাসে ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় লেস্টার সিটি। লেস্টারের রূপকথার গল্প লেখার মৌসুমে কোচ ক্লদিও রানিয়েরির তুরুপের তাস ভার্ডিই ছিলেন। ২৪ গোল করে চ্যাম্পিয়নের মৌসুমে লিগের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন তিনি। পরে ২০২১ সালে ক্লাবের প্রথমবার এফএ কাপ জয়ের নায়ক ছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
দীর্ঘ ১৩ বছরে লেস্টারের হয়ে ৪৯৬ ম্যাচ খেলেছেন ভার্ডি। গোল করেছেন ১৯৮টি। যা ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সঙ্গে ৬৯ গোলে সহায়তাও করেছেন ক্লাবের কিংবদন্তি। এর মধ্যে লিগে ১৪৩ গোল করে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।
আরআর/টিএ