ট্রাম্পের নির্বাচন সংস্কারের আদেশ আংশিক স্থগিত

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক নির্বাচনী সংস্কারের লক্ষ্যে পরিচালিত একটি নির্বাহী আদেশ এক মার্কিন বিচারক আংশিকভাবে স্থগিত করেছেন। এই স্থগিতের ফলে ট্রাম্প তার এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সর্বশেষ আইনি বাধার মুখে পড়লেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বিচারক কলিন কলার-কোটেলি মার্কিন অঙ্গরাজ্যে ভোটারদের নিবন্ধনের সময় মার্কিন নাগরিকত্বের প্রমাণ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে ট্রাম্প প্রশাসনকে বিশেষভাবে বিরত রেখেছেন।

গত মার্চের শেষে স্বাক্ষরিত এই নির্বাহী আদেশে ডাকযোগে ভোটদান সীমিত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে। যার সমালোচনা ট্রাম্প বছরের পর বছর ধরে করে আসছেন।

আদেশটি স্বাক্ষরিত হওয়ার সাথে সাথেই আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নিজেই এর বিরুদ্ধে আদালতের কার্যক্রম শুরু করে।

ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার যুক্তি হিসেবে কলার-কোটেলি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ‘যোগ্যতা পর্যালোচনা করলে, বাদীদের জয়লাভের সম্ভাবনা যথেষ্ট।’

বিচারক তার ১২০ পৃষ্ঠার সিদ্ধান্তে লিখেছেন, আমাদের সংবিধান কংগ্রেস এবং অঙ্গরাজ্যগুলোকে ফেডারেল নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান করে। এই ক্ষমতা প্রেসিডেন্টকে প্রদান করা হয়নি।

কলিন কলার কোটেলি নির্বাহী আদেশের আরেকটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাদ দিতে অস্বীকৃতি জানান। যেখানে রাজ্যগুলোকে নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ডাকযোগে ব্যালটের জন্য একটি সময়সীমা আরোপ করতে বলা হয়েছিল।

যদিও ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য মার্কিন নাগরিকত্ব বাধ্যতামূলক। তবুও সমস্ত রাজ্যে ভোটারদের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র আনতে হয় না। পরিবর্তে অন্যান্য যাচাইকরণ পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়।

যেসব রাজ্য নির্বাহী আদেশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের ফেডারেল নির্বাচনের তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক রিচার্ড হ্যাসেন নির্বাহী আদেশটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলে বর্ণনা করেছেন। কারণ, এটি লাখ লাখ ভোটারকে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

অধ্যাপক রিচার্ড তার নির্বাচন আইন ব্লগে মার্চের একটি পোস্টে, ট্রাম্পের নির্দেশকে ‘একটি নির্বাহী ক্ষমতা দখল’ বলে অভিহিত করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন, ফেডারেল নির্বাচন মূলত রাজ্যগুলোর দায়িত্ব, কংগ্রেস নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিয়ম নির্ধারণ করে।’

গত ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ৭৮ বছর বয়সী রিপাবলিকান ট্রাম্প ডজন ডজন নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। যার মধ্যে অনেকগুলো আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। 

এসএম/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
রায়ের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে বাধ্য করা হয়েছিল— দাবি শওকত মাহমুদের Apr 26, 2025
img
বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী সোনার দাম, কিস্তিতে কেনার দিকে ঝুঁকছেন দুবাইয়ের ক্রেতারা Apr 26, 2025
img
টাইমস হায়ার র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে Apr 26, 2025
img
আড়াই কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক আটক Apr 26, 2025
img
নওগাঁয় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭৩২ মণ চাল জব্দ Apr 26, 2025
img
‘লাল ফাইল’ নিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দুই মন্ত্রীর সাক্ষাৎ, কী আছে সেখানে? Apr 26, 2025
img
বেনাপোল বন্দরে চালু হলো পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং কার্যক্রম Apr 26, 2025
img
পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সব মুখ্যমন্ত্রীকে অমিত শাহের কড়া নির্দেশ Apr 26, 2025
img
তারেক রহমানই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী, জানালো বৃটিশ গণমাধ্যম Apr 26, 2025
img
ফ্যাসিবাদকে নির্মূল না করা পর্যন্ত নির্বাচন হবে না: নুর Apr 26, 2025