বিসিবির কর্তাদের সাথে শ্বাসরুদ্ধকর বৈঠক শেষে একাধিক বিষয় নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। হার্ট অ্যাটাকের পর এদিনই প্রথম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক। ডিপিএলে তার দল মোহামেডানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মূলত তাওহীদ হৃদয়ের নতুন করে পাওয়া এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা। এছাড়া ডিপিএলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠার পর অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের দিয়ে ঐ মুহূর্ত তুলে ধরা এবং বিপিএলে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠলে তা বোর্ড থেকে গণমাধ্যম অবধি চলে আসা নিয়েই মূলত অসন্তোষ জানান তামিম।
এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন, হৃদয়কে নতুন করে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। মূলত হৃদয়কে নতুন করে নিষিদ্ধ করা নিয়েই আপত্তি মোহামেডানসহ অন্যান্য দলের ক্রিকেটারদের।
গত ১২ এপ্রিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকতের সাথে তর্কে লিপ্ত হন মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। হৃদয় শুধু মাঠে তর্কে জড়িয়েই ক্ষান্ত হননি। ম্যাচ শেষে দাম্ভিকতার সুরে বলেছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
ম্যাচ অফিসিয়ালদের সাথে তর্ক, কটাক্ষ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কারণে নিষেধাজ্ঞা পান ২ ম্যাচের। তবে হৃদয় ও তার দল মোহামেডান শাস্তি কমানোর জন্য ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করেন। টেকনিক্যাল কমিটি তাতে সাড়া না দিলেও তাদের উপেক্ষা করে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নিয়ে আসে, অথচ তাদের এই এখতিয়ারই নেই। মূলত নিয়ম ভেঙে হৃদয়ের এই শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তের কারণেই বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত।
তবে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে সৈকতের অভিমানও ভাঙায়। তাতে সেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে দেওয়া হয় হৃদয়কে।
আরআর/টিএ