মুনমুন সেনকে বড়পর্দায় শেষ দেখা গিয়েছে বহু দিন আগে। তবে অভিনয়ের প্রতি টান এখনও অটুট। গত বছর ‘ক্যাবেজ’-এর মতো ছোট ছবি দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। এবার ফের তিনি ফিরছেন আর এক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘সহচরী’ নিয়ে। সঙ্গী অভিনেত্রী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবির পরিচালক প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবির কাহিনি সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু বলতে নারাজ মুনমুন সেন। তাঁর কথায়, “ছোট ছবিতে বড় ভাবনা দেখানোর চেষ্টা করেছি আমরা। আগাম বলে দিলে ছবির আনন্দ নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু এটুকু বলব, আমি আর সুস্মিতা ছাড়া আর কেউ নেই ছবিতে।”
একদিনেই হয়েছে শুটিং। তবে সহ-অভিনেত্রী সুস্মিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। বললেন, “খুব মিষ্টি, দারুণ সপ্রতিভ। সাবলীল অভিনয় করে মেয়েটা। স্বস্তিকাও দারুণ, ওর সঙ্গেও একদিন নিশ্চয়ই কাজ করব।”
আশির দশকের জনপ্রিয় নায়িকা মুনমুন সেনের ঝুলিতে রয়েছে তাপস পাল, চিরঞ্জিৎ, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একের পর এক হিট ছবি। এখন বড়পর্দায় কেন দেখা যায় না তাঁকে?
“আমাদের বয়সি অভিনেত্রীদের ভেবে বাংলা ছবিতে চরিত্র লেখাই হয় না। ফলে ছোট ছবিতে কাজ করেই খুশি থাকতে হচ্ছে,”— বললেন সুচিত্রা কন্যা।
তবে বাংলা সিনেমা তিনি এখনও মন দিয়ে দেখেন। “শর্মিলা ঠাকুরের ‘পুরাতন’ দেখলাম, খুব ভালো লাগল। ‘এই রাত তোমার আমার’-এ অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত— দারুণ অভিনয়।”
সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষীয়ান বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী পর্দায় ফিরেছেন। রাখি গুলজ়ার ‘আমার বস’-এ, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় ‘আড়ি’-তে, ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘রক্তবীজ’-এ। মুনমুন সেন নিজেও প্রত্যাবর্তনে বিশ্বাস রাখেন।
তবে একটি শর্তে— “শর্মিলা, মৌসুমী, রাখিরা সবাই পর্দায় মায়ের চরিত্রে ফিরছেন। আমি কিন্তু রাইমা বা রিয়ার মা হলে তবেই রাজি। আমি কিন্তু সবার মা হতে পারব না!”
এসএস