বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. তাহের বলেন, "জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা একটি দ্বিতীয় স্বাধীনতা বা নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তবে আমরা আদৌ সত্যিকারের স্বাধীন হয়েছি কিনা, তা সময়ই বলে দেবে।"
তিনি অভিযোগ করে বলেন, "আমরা যারা নেতৃত্বে ছিলাম বা রয়েছি, তারা মানুষের ত্যাগ ও প্রয়োজনকে সঠিকভাবে অনুধাবন এবং মূল্যায়ন করে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছি।"
তবে নতুন এই পরিবর্তন যেন অতীতের মতো হারিয়ে না যায়, সে জন্য সবাইকে আরও সতর্ক হতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রয়োজনে কিছুটা কঠোর হতে এবং মৌলিক বিষয়গুলোতে সংশোধনের জন্য যথাযথ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান ডা. তাহের।
তিনি বলেন, "বাংলাদেশে স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় জামায়াতে ইসলামী। আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেটিকে দেশের জনগণ ও সারা বিশ্ব একটি প্রকৃত নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "গত তিনটি নির্বাচনে কোনো প্রকৃত নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করা দরকার, তা-ই করা হয়েছে। এর কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। আজ তার পরিণতি জাতিকে ভোগ করতে হচ্ছে। আমরা এই অবস্থা আর চাই না।"
ডা. তাহের বলেন, "দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য যেখানে নতুন সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন, সেখানে ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও পরিবর্তনের প্রয়োজনে পরিপূর্ণ সমর্থন পোষণ করে।"
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নেন সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ড. হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
এমআর/এসএন