গরমকালে শরীরচর্চা করা বেশ কষ্টকর। এ সময় শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হয়, তাই সঠিকভাবে খেয়াল না রাখলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া গরমকালে সঠিক পদ্ধতিতে শরীরচর্চা না করলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গরমের দিনে শরীরচর্চা করার সময় কিভাবে সতর্ক থাকা উচিত, কোন কোন দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা জরুরি, জেনে নিন।গরমকালে শরীরচর্চায় ফাঁকি নয়, তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেসব বিষয়ে, সেগুলো হচ্ছে
গরমের সময়ে যারা প্রতিদিন হাঁটতে যান বা দৌড়াতে যান কিংবা জগিং করেন, তারা সকালের দিকে করার চেষ্টা করুন। রোদ যত বাড়বে বাড়ির বাইরে ওয়ার্ক আউট করা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যাবে। চড়া রোদের তেজে শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই ভোরবেলায় শরীরচর্চা করাই গরমের মৌসুমে সবচেয়ে ভালো।
গরমকালে জিমে গেলে নিজের শারীরিক ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কিছু করতে যাবেন না। শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। নতুন কোনো ওয়ার্কআউটের আগে অবশ্যই ট্রেনারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। নিজে নিজে কিছু না করাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
যারা একদম ভোরবেলায় শরীরচর্চা করতে পারছেন না, তারা দিনেরবেলায় শরীরচর্চা করলে বাড়ির ভেতরেই করা ভালো। রোদ লাগবে না। আর গরমের মৌসুমে সকালে না পারলে বিকেলে কিংবা রাতের দিকে হাঁটাচলা, দৌড়ানো, জগিং- এগুলো করতে পারেন। রোদ থাকবে না, শারীরিক কসরত করতে কষ্ট হবে না। ঘাম ঝরলেও শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে না।
বাড়ির বাইরে শরীরচর্চা করতে বের হলে গরমের দিনে অবশ্যই সঙ্গে রাখুন পানির বোতল। আর রাখতে হবে তোয়ালে। গরমে ওয়ার্কআউট করলে ঘাম আরো বেশি হয়। তাই মাঝে মাঝে বিরতি নিয়ে তোয়ালে দিয়ে ঘাম মুছে নিন। না হয় ঘাম বসে সর্দির সমস্যা হতে পারে। গরমকালে শরীরচর্চার মাঝে বিরতি নিয়ে অল্প অল্প করে পানি খাওয়া খুবই জরুরি। না হয় শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়ে যাবে।
গরমের মৌসুমে চেষ্টা করুন রোদ এড়িয়ে শরীরচর্চা করতে। সরাসরি সূর্যের তাপে ওয়ার্কআউট করলে অসুস্থ হয়ে যাবেন। হিটস্ট্রোকও হতে পারে। ওয়ার্কআউটের পর ভালোভাবে গোসল করা অবশ্যই প্রয়োজন। এরপর কিছু খেয়ে নেওয়াও জরুরি। না হয় শরীর দুর্বল হয়ে যাবে।
গরমকালে শরীরচর্চা শুরুর আগে হাল্কা কিছু খেয়ে নিন। ওয়ার্কআউট শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে হালকা কিছু খেতে হবে। খালি পেটে ব্যায়াম করা যাবে না।