পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) এর সঙ্গে লড়াই করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। অনিয়মিত মাসিক, শরীরে অতিরিক্ত পশম বৃদ্ধি, ব্রণ এবং ওজন বৃদ্ধি এর বাহ্যিক লক্ষণ। কিছু ক্ষেত্রে এটি বন্ধ্যাত্বেরও কারণ হতে পারে। তবে আশার কথা হলো, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সমন্বয় করে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। PCOS আক্রান্তদের জন্য কিছু খাবার অন্যদের তুলনায় বেশি উপযুক্ত। আবার কিছু খাবার ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, এ ধরনের সমস্যায় কোন খাবারের বদলে কোন খাবার খাবেন-
PCOS কী?
PCOS হলোএকটি হরমোনজনিত ব্যাধি যা প্রজনন বয়সের নারীদের প্রভাবিত করে। এই অবস্থায় ডিম্বাশয়ের বাইরের প্রান্ত বরাবর ছোট সিস্ট তৈরি হয়, যার ফলে সেগুলো বড় হয়ে যায়। এটি অতিরিক্ত পুরুষ হরমোনের উপস্থিতির ফলে ঘটে, যা অ্যান্ড্রোজেন নামে পরিচিত। পিসিওএস নিয়ন্ত্রণের জন্য এখানে ৫টি স্বাস্থ্যকর খাবারের অদলবদল দেওয়া হলো-
১. সাদা রুটির বদলে লাল রুটি
সাদা রুটিতে খুব কম ফাইবার থাকে। এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে পারে, যা পিসিওএস আক্রান্তদের জন্য উপযোগী নয়। লাল আটার রুটি এক্ষেত্রে বেশি পুষ্টিকর। এটি ইনসুলিনের মাত্রা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২. কোল্ড ড্রিংকসের বদলে লেবুপানি
আপনি যদি ঘন ঘন কোল্ড ড্রিংকস পান করেন তাহলে সেই অভ্যাস এখনই বাদ দিন। কোল্ড ড্রিংকস চিনিতে ভরপুর, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করে দেয়। ঘরে তৈরি লেবুপানি বিপাককে সহায়তা করে এবং বাড়তি চিনি ছাড়াই শরীরকে সতেজ করে।
৩. চিপসের বদলে পপকর্ন
চিপস ডুবো তেলে ভাজা হয়। এতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সোডিয়াম বেশি থাকে, যা প্রদাহের কারণ হতে পারে। পপকর্ন হালকা, ফাইবার সমৃদ্ধ এবং হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত না করে পেট ভরাতে সাহায্য করে। তাই চিপসের বদলে পপকর্ন বেছে নিন।
৪. মিষ্টি দইয়ের বদলে টক দই
মিষ্টি দই স্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে, তবে এতে অতিরিক্ত চিনি থাকে। টক দইয়ে অতিরিক্ত মিষ্টি ছাড়াই সমস্ত প্রোবায়োটিক সুবিধা পাওয়া যায়। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে, যা সরাসরি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।
এফপি/এস এন