বরিশালের আগৈলঝাড়ায় আটক মাদক কারবারি পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়সহ পালিয়েছেন। তার হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার ছয়গ্রাম এলাকা হতে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ১০টায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় রিয়াজ ফকির নামের এক মাদক কারবারি। সে উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. ছিদ্দিক ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় ও আহত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে মাদক বেচাকেনার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদের উত্তর পাশে আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মামুন হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে ১৬ পিস ইয়াবাসহ উপজেলার ফুল্লশ্রী গ্রামের মো. রিয়াজ ফকিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর দুই হাতে হাতকড়া পরিয়ে রিয়াজ ফকিরকে পুলিশের গাড়িতে তুলতে গেলে সে (রিয়াজ) পুলিশের কনস্টেবল কামাল হোসেনের গোপনাঙ্গে লাথি মারে ও কনস্টেবল সাইমুন আল সাকিবের বুকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। এসময় রিয়াজকে ধাওয়া করে ধরতে গিয়ে আহত হন এএসআই মামুন হোসেন। আহত পুলিশকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর বিভিন্নস্থানে সারারাত অভিযান চালিয়ে পলাতককে হাতকড়াসহ শুক্রবার সকাল ৬টায় উপজেলার ছয়গ্রাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রিয়াজের বাবা ছিদ্দিক ফকির জানায়, আমার ছেলে রিয়াজ ফকির মাদকসেবন করে। আমি মাদক সেবনে বাধা দিলে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হতো। বার বার বাধা দিয়েও তাকে এ পথ থেকে ফেরাতে পারেননি।
আগৈলঝাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. অলিউল ইসলাম জানান, রিয়াজ ফকিরকে গ্রেফতার করতে গিয়ে কনস্টেবল কামাল হোসেন ও সাইমুন আল সাকিবকে এবং এএসআই মামুন হোসেন আহত হয়। আহত কামাল হোসেন ও সাইমুন আল সাকিবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিজান চালিয়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় পলাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। রিয়াজের বিরুদ্ধে চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে চিহ্নিত মাদক চক্রের সদস্য। পুলিশের উপরে হামলার ও মাদক উদ্ধারে ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় দুইটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
এসএম/টিএ