বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে কমিশনের সামনে যে আন্দোলন হচ্ছে তা গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ যাত্রা, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আইভী রহমানকে গ্রেফতার ও অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের পর জামিন দেয়ার মতো দেশে একের পর এক নাটক চলছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এগুলো জনগণের মূল দাবি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা কি না ভাববার বিষয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নানা নাটক মঞ্চস্থ করে ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন দল এনসিপির নির্বাচন কমিশন ঘেরাওয়ের পেছনে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
এ সময় তিনি নানা প্রশ্ন তুলে বলেন, কারও যদি কান কথা শুনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ইশরাকের শপথ বন্ধ করে দেয়া হয়, তাহলে খুব খারাপ কাজ হয়েছে।
বিচারক রায় দিয়েছেন কার পরামর্শে? আজকে জনগণ রাস্তায়। এ পরামর্শ না নিলেই পারতেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের তো ভয় পাওয়ার কথা না, তাহলে কেন ইশরাক শপথ নিতে পারলেন না?
কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে আদালতের রায় মেনে নিয়ে ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠের ব্যবস্থা করানোর আহ্বান জানান ফারুক।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ নেই অথচ তাদের সরাতে একটি দল উঠে পড়ে লেগেছে, উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সব ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। এ সরকারের প্রতি বিএনপির সমর্থন আছে, তবে তা কত দিন থাকবে, সেটি নির্ভর করবে সরকারের আচরণের উপর।
দীর্ঘ দিন আন্দোলন সংগ্রামে থাকা দলগুলোকে পাশ কাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে তা জনগণ প্রতিহত করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে আরেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বর্তমানে নানা সংস্কার করা হচ্ছে তা আবার আগামীকাল পুনরায় সংস্কার প্রয়োজন হতে পারে।
আরএম/টিএ