দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কোনো ট্রফি নেই, সবশেষ ২০০৮ সালে কারাবো কাপের শিরোপা জিতেছিলো টটেনহ্যাম। এরপর কত কোচ এলেন, কত খেলোয়াড় খেললেন, কিন্তু টটেনহ্যামের দুর্দিন যাচ্ছিলো না। কিংবদন্তি হ্যারি কেন তো শূন্য হাতেই বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমিয়েছিলেন। তিনি এবার বায়ার্নের হয়ে বুন্দেসলিগা জিতে ট্রফিখরা কাটিয়েছেন, টটেনহ্যাম কাটালো ইউরোপা লিগ জিতে।
টটেনহ্যামের পাশাপাশি ট্রফিখরা কেটেছে সন হিয়ং মিনেরও। টটেনহ্যাম-ক্যারিয়ারে তো বটেই, এটা সনের ক্লাব ক্যারিয়ারেই প্রথম শিরোপা। এর আগে কারাবো কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রানার্সআপ হয়েছিলেন তিনি।
বুধবার (২১ মে) ইউরোপা লিগের ফাইনালে টটেনহ্যাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে তাদের।
ইউনাইটেডের হৃদয়ভাঙা বহুমূল্য একমাত্র গোলটি করেছেন ব্রেনান জনসন।
পারফরম্যান্সে টটেনহ্যাম ও ইউনাইটেডের এবারের লিগের যাত্রা ভুলে যাওয়ার মতো। টেবিলে ইউনাইটেড ১৬ ও টটেনহ্যাম ১৭ নম্বরে রয়েছে। তাদের পরের তিনটি দলই রেলিগেশন জোনের। লিগের বাজে দুই দল হলেও ইউরোপা লিগের ফাইনাল বিধায় ম্যাচের আগে উত্তাপ ছিলো।
বিলবাওয়ের মাঠে প্রথমার্ধের কিছু আগে জয়সূচক গোলটি পায় টটেনহ্যাম। পেপ সারের ক্রসে বল আসে ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে উনানার একেবারে সামনে। সেখানেই অবস্থান করছিলেন ইউনাইটেডের দুই ডিফেন্ডার। তাদের ফাঁকি দিয়ে জনসনের আলতো ছোঁয়ায় বল পোস্ট ঘেঁষে জালে প্রবেশ করে।
৬৮ মিনিটে টটেনহ্যাম নিশ্চিত গোলের হাত থেকে বাঁচে। ফার্নান্দেজের ফ্রি কিকে রাসমুস হইলুন্দ হেড দিয়ে গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন। গোললাইনের উপর থেকে দলকে বিপদমুক্ত করেন মিকি ফন ডি।
ম্যাচের শেষভাগে টটেনহ্যাম রক্ষণপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছে। আর ইউনাইটেড একের পর এক আক্রমণ করেছে। কিন্তু গোলের দেখা আর মেলেনি। ট্রফিখরার মৌসুম শেষ করলেন স্পোর্টিং লিসবন থেকে দায়িত্ব নিয়ে আসা রুবেন আমোরিম।
টিকে/টিএ