ফের সাত দিনের রিমান্ডে রিফাত ফরাজী

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ২নং আসামি রিফাত ফরাজীকে ফের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার রাতে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিফাত ফরাজীকে হাজির করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তা মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির।

হুমায়ুন কবির বলেন, গত ২ জুলাই বন্দুকযুদ্ধে নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সোলেমান ও অস্ত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইয়াকুব। সোমবার এসআই ইয়াকুব অস্ত্র মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এর আগে ৪ জুলাই বিকালে গ্রেপ্তার রিফাত ফরাজীকে আদালতের মাধ্যমে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলো- মামলার ২নং আসামি রিফাত ফরাজী, ৪নং আসামি চন্দন, ৯নং আসামি হাসান, ১১নং আসামি অলি এবং ১২নং আসামি টিকটক হৃদয়। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে নাজমুন হাসান, তানভীর, সাগর, সাইমুন ও রাব্বি নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে চন্দন ও হাসান সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অলি ও তানভীর।

এর আগে, ২ জুলাই ভোর রাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিন জনসহ ছয় জন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

ওই দিন রাতে রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরল আরও ১৭৪ বাংলাদেশি Oct 28, 2025
img
সেদিন আ.লীগের নৃশংসতা অবাক বিস্ময়ে দেখেছে বিশ্ববাসী: রাশেদ প্রধান Oct 28, 2025
img
অস্ত্রোপচারের পর সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন শ্রেয়াস আইয়ার Oct 28, 2025
img
‘সাইয়ারা’র বিলবোর্ডে চোখ রেখে ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন আহানের মা Oct 28, 2025
img
ট্রেলারেই বাজিমাত করলেন রবি তেজা-শ্রীলীলা Oct 28, 2025
img
ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায় ২৮ অক্টোবর : মুহাম্মদ শাহজাহান Oct 28, 2025
img
গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর Oct 28, 2025
img
গণভোট নির্বাচনের আগে হলে দলীয় প্রভাবমুক্ত থাকবে: সারজিস Oct 28, 2025
img
ঢাবিতে প্রকাশ্যে কাজ করতে পারতাম না, গোপনে নামাজ পড়তে হতো: আজহারুল ইসলাম Oct 28, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিকল্প নেই: তাহের Oct 28, 2025
img
জামায়াতকে পিআর নিয়ে আরও পড়াশোনার পরামর্শ নাসীরুদ্দীনের Oct 28, 2025
img
বিপিএলের ফিক্সিং নিয়ে ৯০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিসিবিতে Oct 28, 2025
img
প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে থাইল্যান্ড থেকে ফিরল বাংলাদেশ Oct 28, 2025
img
সম্পর্ক জোরদারে পাকিস্তানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান Oct 28, 2025
img
‘স্পাইডার-ম্যান ৪’ নিয়ে লেখকের রহস্যময় ইঙ্গিত Oct 28, 2025
img
মৌসুমই শেষ কেভিন ডি ব্রুইনের Oct 28, 2025
img
আমি শিল্পী নই, আমি মিস্ত্রী : সব্যসাচী চক্রবর্তী Oct 28, 2025
img
দীপিকা বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন রাশ্মিকা Oct 28, 2025
img
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে খেলবেন মেসি? Oct 28, 2025
img
আগামী নির্বাচন সহজ হবে না, ফ্যাসিস্ট প্রেতাত্মা সর্বত্র বিচরণ করছে : এম এ খালেক Oct 28, 2025