বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল গত কাল রাত দশটা থেকে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট পুনরায় বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন সকালে। বাফুফে রাত নয়টার দিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় দশটা থেকে ক্লাব হাউজ ২, নর্থ-ওয়েস্ট গ্যালারীর টিকিট পাওয়া যাবে। পূর্ব পাশের গ্যালারীর পরবর্তী সময়ে মিলবে।
বাফুফের এই ঘোষণার পর ফুটবলপ্রেমীরা বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের অনলাইন টিকিটিং পার্টনার টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ অপশন ক্লিকের পর ডিসপ্লেতে বড় আকারে ভেসে আসছে, 'ইউ আর ইন লাইন। ধৈর্য্য ধারণের জন্য ধন্যবাদ।'
তবে অনেকেই আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইটে থাকলেও টিকিট ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো ধাপেই প্রবেশ করতে পারেননি। কয়েক সেকেন্ড পর পর রিফ্রেশ হয়ে সাইট আপডেট নিলেও বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট অপশনে যেতে পারেনি। ডিসপ্লের এক অংশে লেখা আসছিল অপেক্ষার সময় কত লম্বা সেটা অনির্ধারিত। আধা ঘণ্টা পর বার্তা এলো এক ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হবে। কিছুক্ষণ পর ভার্চুয়াল লাইনে অপেক্ষার সময় এক ঘণ্টা থেকে কমার বিপরীতে উল্টো চার ঘণ্টা হয়ে গেল।
টিকিট কেনার এই অভিজ্ঞতা যেন এক অফুরন্ত অপেক্ষার গল্পের ছবি। এই অভিজ্ঞতা শুধু টিকিট ক্রয়ের ব্যর্থতাই নয়, বরং অগণিত মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট এবং চরম হতাশার এক প্রতিচ্ছবি। তবুও নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পর ফুটবলপ্রেমীরা বহুল কাঙ্খিত টিকিট কাটতে পারবে কি না, নাকি পরবর্তী ধাপগুলোও এ রকম অপেক্ষার হবে সেটাই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ফুটবলপ্রেমীদের তুমুল আগ্রহ। সবাই একসঙ্গে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে টিকিফাইয়ের ওয়েবসাইটে অনেক চাপ পড়ছে। ওয়েবসাইট সার্ভার যাতে ভেঙে না পড়ে এবং গ্রাহকরা যেন টিকিট পান এজন্য এবার নতুন পন্থা অবলম্বন করেছে টিকিফাই। টিকিফাইয়ের বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ টিকিট অপশন ক্লিক করার পর একটি ভার্চুয়াল অপেক্ষামান লাইন করা হয়েছে। সেই লাইনের ভিত্তিতে মূলত গ্রাহকরা টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ফুটবলে এবারই প্রথম অনলাইন টিকিটিং চালু হয়েছে পূর্ণাঙ্গরূপে। গত শনিবার রাত ৮টায় এই টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হলেও সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই তা স্থগিত করতে হয়েছে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর আবার নতুন নিয়মে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আজ নতুন পদ্ধতিতে বিক্রি শুরুর পর এখনো কোনো টিকিট বিক্রির তথ্য পাওয়া যায়নি।
এফপি/টিএ