যুব মহিলা লীগ নেত্রী তন্দ্রা কারাগারে

খুলনার যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাসরিন ইসলাম তন্দ্রাকে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
 
এর আগে, গতকাল সোমবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা-পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তন্দ্রা সবশেষ খুলনা মহানগর যুব মহিলা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এর আগে, তিনি একই সংগঠনের সোনাডাঙ্গা থানা শাখার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
 
খুলনা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার তন্দ্রা মালয়েশিয়া থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ২৮ মে চট্টগ্রাম থেকে তার ইতালির ভিসা সংগ্রহ করার কথা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেএমপির গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি ঢাকার বিমানবন্দর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জানুয়ারি বিকেলে আসামিরা নগরীর রয়েল মোড়স্থ ‘ফ্যাশন জোন বাই লিন্ডা’ প্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময়ে ওই প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও সামনে ককটেল ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৮ মার্চ ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একসময় এনজিও কর্মী ছিলেন তন্দ্রা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে কিনেছেন জমি। খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন বয়রায় নির্মাণ করেছেন চোখ ধাঁধানো আলিশান বাড়ি। এ ছাড়া রায়ের মহলে কোটি টাকা দামের বেশ কয়েকটি প্লট রয়েছে। রয়েছে তিনটি দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি গাড়িতে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

খুলনা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়মুর ইসলাম বলেন, তন্দ্রা খুলনা থানার একটি চাঁদাবাজি, বোমা ফাটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি মামলার আসামি। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকা থেকে খুলনার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম এম আনিসুজ্জামানের আদালতে হাজির করে জেল হাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  


এমআর/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশি উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন টেলিকম নীতি প্রণয়নের আহ্বান Nov 22, 2025
img
বিগত দিনের মতো যদি কেউ কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে, তবে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে : জামায়াত আমির Nov 22, 2025
img
বিএনপিতে হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি থাকবে না: এ্যানি Nov 22, 2025
img
ভূমিকম্প নিয়ে ১০টি বিস্ময়কর তথ্য Nov 22, 2025
শান্তি প্রস্তাব মানতে ইউক্রেনকে সময় বেধে দিলো ট্রাম্প Nov 22, 2025
গণভোটের ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ মানুষ বুঝতে পারছে না : মির্জা ফখরুল Nov 22, 2025
“শিবির সম্পর্কে ভুল ধারণা ভাঙল অনুষ্ঠানে এসে ” Nov 22, 2025
হুজুররা সাধারণ মানুষ ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের মধ্যে দুরত্ব তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে' Nov 22, 2025
ভূমিকম্পে নিহত ১০; উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে সর্বোচ্চ প্রাণহানি Nov 22, 2025
এমন নেতৃত্ব চাই, যারা মানুষ নয়—আল্লাহকে ভয় করে চলবে Nov 22, 2025
img
মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : লুৎফুজ্জামান বাবর Nov 22, 2025
img
নারীদের শিবিরের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা কোনো সংগঠন দিতে পারবে না : সাদিক কায়েম Nov 22, 2025
img
আবারও একসঙ্গে আলোচনায় বলিউডের ২ সুপারস্টার শাহরুখ খান ও সালমান খান Nov 22, 2025
img
জামদানি শাড়িতে স্নিগ্ধ সাজে নজর কাড়লেন বুবলী Nov 22, 2025
img
ভূমিকম্প নিয়ে এআই ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা : ফ্যাক্টওয়াচ Nov 22, 2025
img
অনিশ্চিত ‘প্রিন্স’, ঈদে কী আসছে ‘সোলজার’? Nov 22, 2025
img
রাজধানীতে আবারও ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত Nov 22, 2025
img
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দল পেলেন মুস্তাফিজ Nov 22, 2025
img
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো গ্রেপ্তার Nov 22, 2025
img
৫০ কোটি পাউন্ডে বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ Nov 22, 2025