কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তোরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় স্থানীয় কৃষি খাতকে আরও রপ্তানিমুখী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
শনিবার (১ জুন) মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘লোকাল লেভেল স্টেকহোল্ডারস কনসালটেশন অন ইনক্লুসিভ স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন শীর্ষক’ এক কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প (এসএসজিপি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন, গণপূর্ত ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকি।
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণকে টেকসই করতে হলে সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, মুন্সীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী জাতীয় ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণ করতেই হবে। এখান থেকে ফিরে আসার সুযোগ নেই।
ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকি বলেন, উত্তোরণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ভূমিকা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব ও এসএসজিপি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সার্বিক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় কী প্রভাব পড়তে পারে বা নতুন কি সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে সেই বিষয়ে স্থানীয় বেসরকারি খাত বিশেষত রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রতিনিধিদের মধ্যে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধি ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন, সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুন নাহার, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদুর রহমান খন্দকার।
কর্মশালায় সরকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
এফপি/এসএন