বলিউডে আবারও নতুন বিতর্কের ঝড়। অজয় দেবগনের একটি মন্তব্য ঘিরে তীব্র আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। ‘মা’ ছবির ট্রেলার উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আট ঘণ্টার শুটিং শিফট হলে একজন সৎ পরিচালকের কোনো সমস্যা হওয়া উচিত নয়।” এই বক্তব্যকে ঘিরে অনেকেই ধারণা করছেন, তিনি সরাসরি নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করেছেন ‘স্পিরিট’ ছবির পরিচালক সানদীপ রেড্ডি ভাঙ্গাকে।
এদিন অনুষ্ঠানে অজয়ের পাশে বসে থাকা কাজল যোগ করেন, “কম সময় কাজ করেও জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব। বিশেষ করে নারীদের জন্য এ ধরনের সমঝোতা জরুরি।” এই বক্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয় নানা ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ।
সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন 'স্পিরিট' ছবির শুটিং থেকে সরে দাঁড়ান। জানা যায়, আট ঘণ্টার শিডিউল এবং সৃষ্টিশীল মতপার্থক্যের জেরে তিনি ছবিটি না করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরই পরিচালক ভাঙ্গা সামাজিক মাধ্যমে নাম না করে লেখেন, “নোংরা প্রচারণা চলছে, কেউ কেউ সততার মুখোশ পরে আছে।” অনেকেই মনে করেন, এই বক্তব্য দীপিকার উদ্দেশেই ছোড়া।
তবে অজয়ের মন্তব্যকে অনেকে দীপিকার প্রতি সমর্থন হিসেবেই দেখছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, অজয় এখন ইচ্ছাকৃতভাবেই বিতর্কিত মন্তব্য করে নিজেকে আলোচনার কেন্দ্রে আনছেন।
এই বিতর্কে বলিউড যেন দুই ভাগে বিভক্ত—একপাশে দাঁড়িয়ে আছে পেশাদারিত্ব, আরেকপাশে পরিচালক কর্তৃত্ব। প্রশ্ন উঠছে, কাজের সময় নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেবেন কে? একজন শিল্পীর মানবিক চাহিদা কি সৃষ্টিশীল কাজের ধারাকে ব্যাহত করে? নারীর জন্য কাজের পরিবেশে সহানুভূতিশীল হওয়া কি দুর্বলতা?
এই বিতর্ক এখন আর কেবল একটি মন্তব্য ঘিরে সীমাবদ্ধ নেই। এটি বলিউডের ওয়ার্ক কালচারে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরছে—শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজকের মধ্যকার ক্ষমতার ভারসাম্য কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? অজয় দেবগনের বক্তব্য সে প্রশ্নেরই একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
এসএম