গাজায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেল আরও ৩৭ জনের

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড়শো। এতে করে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৪ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ হাজার ৪১৮ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

রোববার দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৭টি মরদেহ পৌঁছেছে, আর আহত হয়েছেন আরও ১৩৬ জন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ১৯০ জনে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বা রাস্তায় পড়ে রয়েছে, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি কারণ উদ্ধারকারী দলগুলো সেখানে পৌঁছাতে পারছে না।”

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তি হয়েছিল, তা ১৮ মার্চে বাতিল করে ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থলপথে হামলা আরও তীব্র হয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ১২ হাজার ১৪৯ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৯০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের অধিকাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। 

অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল।

আরএম/এসএন 


Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফ্যাসিবাদের মতো কঠিন রোগ সরাতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা Sep 17, 2025
img
সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসকের যোগদান শিগগিরই : স্বাস্থ্যের ডিজি Sep 17, 2025
img
পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট Sep 17, 2025
img
যারা গুপ্তভাবে কাজ করে তারাই অনিয়মের পথ বেছে নেয় : টুকু Sep 17, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার আইন ও বিচার ব্যবস্থায় অমূল পরিবর্তন করেছে: আসিফ নজরুল Sep 17, 2025
img
মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশের নামে চাঁদাবাজি, আটক ২ Sep 17, 2025
img
গ্রেপ্তার এড়াতে শ্রমিক সেজেছিলেন, তবুও শেষ রক্ষা হলো না ছাত্রলীগ নেতার Sep 17, 2025
img
জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বর Sep 17, 2025
img
আগে বায়ার্ন মিউনিখকে হারাই, তারপর পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবব: চেলসি কোচ Sep 17, 2025
img
শরতের আবহে মিমের মুগ্ধতা Sep 17, 2025
img
ড. ইউনূসের সফরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে নিউইয়র্ক পুলিশ Sep 17, 2025
img
ফরিদগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার Sep 17, 2025
img
একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদের: আলী রীয়াজ Sep 17, 2025
img
রাজাকাররা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে : সেলিমা রহমান Sep 17, 2025
img
শ্বশুরবাড়ি নয়, মায়ের কাছেই বেশি থাকছেন ঐশ্বরিয়া! Sep 17, 2025
img
অবশেষে কমলো স্বর্ণের দাম Sep 17, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৭ কোটি ডলার Sep 17, 2025
img
ক্যারিয়ার, সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন মালাইকা Sep 17, 2025
img
নাটকীয়তা শেষে মাঠে আসলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা Sep 17, 2025
সংবিধান আদেশে জুলাই সনদের প্রস্তাবনা গণভোটের মাধ্যমে বৈধতা পাবে Sep 17, 2025