দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার গ্ল্যামার কুইন আনুশকা শেঠিকে ঘিরে এবার প্রশ্ন একটাই—তিনি কি তার নতুন থ্রিলার ‘ঘাটি’র প্রচারে মিডিয়ার মুখোমুখি হবেন?
গত কয়েক বছর ধরেই আনুশকার চলাফেরা সীমিত। বেছে বেছে কাজ, আর প্রচারে প্রায় অনুপস্থিত থাকাই হয়ে উঠেছে তার নতুন স্টাইল। এমনকি তার আগের ছবি ‘মিস শেঠি মি. পলিশেঠি’র সময়েও তাকে মিডিয়ার সামনে দেখা যায়নি বললেই চলে।
কিন্তু এবার ব্যাপারটা আলাদা। ‘ঘাটি’ শুধু আরেকটি ছবি নয়, বরং এটি আনুশকার ক্যারিয়ারে মোড় ঘোরানো সম্ভাব্য প্রজেক্ট। কারণ ছবিটি নির্মাণ করছেন দক্ষিণের অন্যতম গুণী নির্মাতা কৃষ, যিনি ‘হরি হারা বীরা মল্লু’ থেকে বেরিয়ে এসে নতুনভাবে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া।
এই থ্রিলারে আনুশকা অভিনয় করছেন এক গাঢ়, জটিল এবং সাহসী চরিত্রে। যেটা শুধু টিজার বা পোস্টার দিয়ে তুলে ধরা সম্ভব নয়—প্রয়োজন কনটেন্টভিত্তিক এবং ন্যারেটিভ-নির্ভর প্রচারণা। আর সেই কারণেই প্রযোজক প্রতিষ্ঠান ইউভি ক্রিয়েশনস ও ফার্স্ট ফ্রেম এন্টারটেইনমেন্টস চাইছে আনুশকা অন্তত একটি প্রেস কনফারেন্স বা সিটি ট্যুরে অংশ নিন।
ইন্ডাস্ট্রির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এখনো আনুশকার নামে ওজন রয়েছে। তবে পর্দার বাইরে তার অনুপস্থিতি যদি চলছেই, তাহলে দর্শকের সঙ্গে সংযোগ ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাবে। আর তাতেই ক্ষতি হবে ছবি ‘ঘাটি’র সম্ভাবনার।
একজন অভিজ্ঞ ডিস্ট্রিবিউটর আন্ধ্রা সার্কিট থেকে মন্তব্য করেছেন, “ছবির প্রোমোশনে আনুশকা যদি অংশ না নেন, তাহলে বড় রিলিজের সব সম্ভাবনাই ঝুঁকির মুখে পড়বে।”
আগামী ১১ জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ছবিটির। হাতে সময় খুবই কম। এই অল্প সময়ের মধ্যে আনুশকার প্রচার-মুখ তুলে ধরাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রশ্ন এখন একটাই—আনুশকা কি এবার নিজের তৈরি করা নীরবতা ভেঙে মুখ দেখাবেন, নাকি 'ঘাটি'কেও পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবেন নিজের মতো করেই?
এসএম/টিকে