নেশনস লিগে তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ফ্রান্সকে। তৃতীয় স্থান অর্জনের ম্যাচে এমবাপেরা ২-০ গোলে হারালেন জার্মানিকে। সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছিল ফ্রান্স। অন্যদিকে জার্মানি হেরেছিল পর্তুগালের কাছে। তৃতীয় স্থান অর্জনের ম্যাচে অবশ্য শেষ হাসি ফরাসিদেরই। গোল করে ও করিয়ে নায়ক কিলিয়ান এমবাপে।
স্টুটগার্টের ঘরের মাঠে এদিন শুরু থেকে দাপট ছিল জার্মানির। স্পেনের কাছে হারার পর রক্ষণের খোলনলচে বদলে ফেলে নেমেছিল ফ্রান্স। অন্যদিকে আক্রমণে ছিলেন না দেম্বেলেও। সেই জায়গায় মাঝমাঠের দখল নিয়ে নেন জার্মানির কিমিচ, উইর্ৎজরা। কিন্তু জুলিয়ান নাগেলসমানের দলকে ভোগায় ফিনিশিংয়ের অভাব। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন আদিয়েমিরা। একাধিকবার ফ্রান্সের পতন বাঁচান গোলকিপার মাইক ম্যানিওঁ। সেখানে গ্রিজমানের অবসরের পর ফ্রান্সের মাঝমাঠে সৃষ্টিশীলতার অভাব স্পষ্ট চোখে পড়ছিল।
কিন্তু এমবাপেকে রোখে সাধ্যি কার! হাফটাইমের ঠিক আগে চুয়ামেনির ক্রস এসে পরে রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকারের পায়ে। চকিতে বল নামিয়ে বাঁকানো শট করেন। বল জালে জড়িয়ে গেলেও কিছু করার ছিল না জার্মানির গোলকিপার টের স্টেগেনের। যা ফ্রান্সের জার্সিতে ৫০তম গোল এমবাপের।
৫৪ মিনিটে গোল শোধ করেছিলেন বদলি হিসেবে নামা উন্ডাভ। কিন্তু তার আগে করা ফাউলের জন্য গোলটি বাতিল করে দেওয়া হয়। বরং দ্বিতীয়ার্ধে অনেক গোছানো ফুটবল খেলে দিদিয়ের দেশঁর দল। বেশ কয়েকবার কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয় জার্মানিকে। ৭৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে এমবাপে যে সাইড ভলিটা নিয়েছিলেন, তা থেকে দর্শনীয় গোল হতে পারত। এবার ত্রাতা হয়ে ওঠেন টের স্টেগেন। মিনিট তিনেক পর ফের এমবাপেকে আটকে দেন জার্মান গোলকিপার।
কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে এমবাপে গতি বাড়াতেই জার্মান ডিফেন্ডারদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান। নিজে অনায়াসে গোল করতে পারতেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বল বাড়িয়ে দেন ওলিসেকে। কার্যত ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের জয় নিশ্চিত করে দেন বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার। গোল করে ও করিয়ে ফ্রান্সকে ২-০ গোলে জেতালেন এমবাপে।
টিকে/টিএ