বিনোদন জগতে ফের নেমে এল শোকের ছায়া। প্রয়াত হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার উদীয়মান মডেল কিম জং সুক। মাত্র ২৯ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই মডেল-তারকা।
গত ৪ জুন মারা যান কিং জং সুক। যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে দুই দিন পর আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
মডেলের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তার ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বইছে শোকের ছায়া। অনেকেই তার স্মৃতিচারণ করে আবেগঘন বার্তা পোস্ট করছেন।
প্রথমে কিমের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মৃত্যুর খবরটি শেয়ার করেন। পরে আরেক বন্ধু স্মৃতিসৌধের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না… আশা করি এখন শান্তিতে আছেন, কোনও ব্যথা ছাড়াই।”
এদিকে, কিমের মৃত্যুকে ঘিরে ইতোমধ্যে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। গুজবের সূত্রপাত ঘটে গিওংগি-ডোর হানামে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সঙ্গে কিমের নাম জড়িয়ে।
সেখানে ২০ বছর বয়সী এক যুবক তার বান্ধবীকে লাঞ্ছিত করার পর বহুতল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন। যদিও এই ঘটনায় কিম জং সুকের কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি।
গুজবের জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কিমের পরিবার একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করে।
এতে তারা অনুরোধ জানান, “অনুগ্রহ করে আমাদের এই দুঃসময়ে গুজব ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে আমাদের যন্ত্রণা আরও বাড়াবেন না।”
প্রয়াত মডেলের বোন এক পোস্টে জানান, কিম জং সুককে নির্দোষ প্রমাণ করতে তারা প্রয়োজনে অফিসিয়াল পুলিশ রেকর্ড এবং কিমের মৃত্যুর আগের শেষ কথোপকথন প্রকাশ করবেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থাও নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
তবে কিভাবে কিমের মৃত্যু হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি পরিবার কিংবা স্থানীয় প্রশাসন। বিষয়টি ঘিরে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
আরআর/টিকে