কোম্পানীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে পদযাত্রায় জামায়াত

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নদী ভাঙন রোধে দ্রুত ক্রস ড্যাম নির্মাণ, বামনী খালের সুইচগেট খুলে দেওয়া এবং নদীর তীরে ব্লক স্থাপনের দাবিতে পদযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১১ জুন) দুপুরে উপজেলার চরএলাহী বাজার সংলগ্ন নদীভাঙন কবলিত এলাকায় এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চরএলাহী বাজারে জড়ো হতে থাকেন। পরে বেলা ১২টার দিকে তারা চরএলাহী বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে চরএলাহী ঘাটসংলগ্ন বামনী নদীর তীরবর্তী ভাঙনকবলিত এলাকায় পৌঁছান।

পদযাত্রা শেষে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৫ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. বেলায়েত হোসেন।

তিনি বলেন, চরএলাহী, চরহাজারী ও মুছাপুর এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বামনী ও ছোট ফেনী নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন। শুধু চরএলাহী ইউনিয়নেই প্রায় ১০ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ২৫ হাজার একরের বেশি ফসলি জমি। অথচ এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী নদী ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সমস্যার কোনো সমাধান আসেনি। তাই আমরা পুনরায় সরকারের কাছে অবিলম্বে ক্রস ড্যাম নির্মাণ, সুইচগেট খুলে দেওয়া এবং নদীর তীরে ব্লক স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।

পদযাত্রা শেষে চরএলাহী ঘাট এলাকায় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ও চরএলাহী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আইউব আলী। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বসুরহাট পৌর জামায়াতের আমির মোশাররফ হোসেন, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মহিউদ্দিন, জামায়াত নেতা জিয়াউল হক জিয়া এবং চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী হানিফ আনসারী প্রমুখ।

এসএম/টিকে    

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেহরানের মিসাইল সরাসরি আঘাত হানল ইসরায়েলের একাধিক ভবনে Jun 14, 2025
img
রাজধানী তেহরানে ফের একাধিক বিস্ফোরণ Jun 14, 2025
img
এশিয়া কাপের আগে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করতে চায় পাকিস্তান Jun 14, 2025
img
রাজবাড়ীতে এক পাঙাশ মাছের দাম সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা Jun 14, 2025
img
ফের মিসাইল হামলা ইরানের, আঘাত হানল ইসরায়েলে Jun 14, 2025
img
ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, ফলাফল হবে সুদূরপ্রসারী : লিন জিয়ান Jun 14, 2025
img
একক হিসেবে সাইফুজ্জামানের সম্পত্তি জব্দ এনসিএ’র সবচেয়ে বড় ঘটনা: প্রেস সচিব Jun 14, 2025
img
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম নেতা খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল Jun 14, 2025
img
মার্করামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইতিহাস গড়তে প্রোটিয়াদের দরকার আর ৬৯ রান Jun 14, 2025
img
শাকিবকে নিয়ে কিছু বলতেই ভয় হয় : অপু বিশ্বাস Jun 14, 2025
img
সংলাপ যেন শুধুই নির্বাচনমুখী ‘সমঝোতার ফাঁদ’ না হয়: হাসনাত Jun 14, 2025
img
ইরানে ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ গেল ৭৮ জনের, আহত ৩২০ Jun 14, 2025
img
ইরানে ফের হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল Jun 14, 2025
img
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ‘শুরু হয়ে গেছে’ জানাল রাশিয়ার জেনারেল Jun 14, 2025
img
আগামী দু’বছর কাঁপাতে আসছে বড় বাজেটের ছয় সিনেমা Jun 14, 2025
img
জুলাই সনদের পূর্বে নির্বাচন নিয়ে কথা বলা সরকারের দায়বদ্ধতা ভুলে যাওয়ার নামান্তর: সারজিস Jun 14, 2025
img
পদ্মা সেতুতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের Jun 14, 2025
img
মাটির নিচের বাঙ্কারে ইরানের হামলার জবাব নিয়ে আলোচনা করছেন নেতানিয়াহু Jun 14, 2025
img
তেহরানে আরও হামলার হুমকি নেতানিয়াহুর Jun 14, 2025
img
তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিবে আহত ১৫ Jun 14, 2025