সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল বলেছেন, নির্বাচন হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে, তবে এখানে কিছু ‘যদি’ ও কিন্তু রয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক বিশ্লেষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেড় ঘণ্টার এ বৈঠকে তারা ওয়ান টু ওয়ান অংশ নিয়েছেন।
তার আগে কিছু আলোচনা হয়েছে যেগুলো ততটা তাৎপর্যপূর্ণ নয়।
তিনি বলেন, এই দুই নেতার মধ্যে কী আলোচনা হলো এখন সেটাই মুখ্য। দুই পক্ষের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দ্বিমত ছিল। ড. ইউনূস বলেছিলেন আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচন দেবেন।
আর তারেক রহমান চেয়েছিলেন এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হোক। কাজেই এই বিরোধ মেটানো দরকার ছিল।
তিনি আরো বলেন, এই বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিয় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব রেখেছেন আগামী রমজানের আগে নির্বাচন আয়োজনের।
এর জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
মাসুদ কামাল বলেন, এখানে অনেকগুলো শব্দের মারপ্যাচ আছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘সংস্কার ও বিচারের পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করতে হবে।’
বিচার আসলে কার উপর নির্ভর করছে? বিচার কে করছে? বিচার তো করছে আদালত। আদালতকে কি বিচারের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া যায়? যদি বিচারের অগ্রগতি না হয়, তাহলে কি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না? এই বিষয়গুলো অস্পষ্ট। আমার কাছে যেটা স্পষ্ট মনে হচ্ছে, বিএনপি আবার সেটাকে পরিষ্কার মনে করছে।
আরএম