বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম বলেছেন, আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচনে আমাদেরকে বিজয়ী হতে হলে সবাইকে বিভেদ ভুলে কাজ করতে হবে। দল থেকে মনোনয়ন যাকেই দেওয়া হবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে চাই। বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ বাঁচবে।
শনিবার (১৪ জুন) রাতে শহরের নান্নু টাওয়ারে রাজবাড়ী কনভেনশন সেন্টারে রাজবাড়ী পৌর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন , আপনারা জানেন দেশে একটি জটিল অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা খুবই উদ্বেগ ও সংশয়ের মধ্যে ছিলাম, কিছুটা এখনো আছি। নির্বাচন কবে হবে এটা নিয়ে আমাদের গোটা বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাজ করছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সাথে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক হয়েছে লন্ডনে। তাদের ওই বৈঠকের পর জানা গিয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ অথবা ১৪ তারিখে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে পারে। ড. ইউনূস এর আগে বলেছিলেন এপ্রিল মাসে নির্বাচনটা হবে। দেশের নির্বাচন কবে হবে এটা নিয়ে নানারকম কথাবার্তা হচ্ছিল। কেউ বলছিল সংস্কার শেষ করে, বিচার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে। আবার কেউ বলছিল ইউনূস সাহেব ৫ বছর থাক। এমন সব নানান কথাবার্তা আমাদের এখানে চলেছে।
‘আমরা একটা সংশয়ের মধ্যে ছিলাম। হঠাৎ ইউনূস সাহেব বললেন যে আমরা নির্বাচনটা এপ্রিল মাসে করব। তাৎক্ষণিক আমাদের দল থেকে একটি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হলো এপ্রিল মাসে নির্বাচন তো মুশকিল। তখন রমজান মাসও চলে আসবে। ওই সময়টা নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ অনূকুল পরিবেশ থাকবে না। এগুলো নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়ে গতকাল লন্ডনে যে মিটিংটা হলো সেই মিটিং এর পরিপেক্ষিতে আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে এটা ধরে নিতে পারি।’
তিনি বলেন , আগামী নির্বাচনের আগে আপনাদের সঙ্গে আমার এভাবে বসা হবে না বিধায় আপনাদের নিয়ে আজ এই মিটিং। কারণ এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত যে সময়টা আমরা হাতে পাব এই সময়টা আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় টা আপনাদেরকে কাজে লাগাতে হবে। প্রতি সেকেন্ড, প্রতি মিনিট, প্রতি ঘণ্টা আপনাদের কাজে লাগাতে হবে। এখন থেকেই কিন্তু নির্বাচনের একটা হাওয়া শুরু হচ্ছে। জুন মাসতো চলেই যাচ্ছে, আর আমাদের হাতে রয়েছে ৬/৭ মাস মতো সময়। ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন হলে তার তিন/চার মাস আগে থেকে সম্পূর্ণ নির্বাচনের হাওয়া বইবে।সুতরাং তখন আর সংগঠনের কাজ, গোছানোর কাজ, পরিকল্পনার কাজ এটা কিন্তু আপনারা করতে পারবেন না। তাই আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে বসেছি। এভাবে আমি সদর উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন, গোয়ালন্দের উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বসব।
রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলালের সভাপতিত্বে ও পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোবায়দুল ইসলাম মিরাজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী, বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আহসান হাবীব, যুগ্ম আহ্বায়ক আকমল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য এ মজিদ বিশ্বাস।
এসময় জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কেএন/এসএন