বলিউডের একসময়ের উদীয়মান অভিনেত্রী হিসেবই পরিচিত লাভ করেছিলেন অমৃতা অরোরা। দিদি মালাইকা অরোরা বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। সেই সঙ্গে খান পরিবারের বউও ছিলেন। তাই অমৃতার ক্যারিয়ারের শুরুটা বেশ প্রত্যাশায় ঢাকা ছিলো।
তবে ক্যারিয়ার বেশিদুর এগোয়নি এ অভিনেত্রীর। বরং ব্যক্তি জীবন নিয়েই সর্বাধিক আলোচনায় ছিলেন। বর্তমানে রয়েছেন লাইমলাইটের বাইরে।
বলিউড সূত্রে খবর রয়েছে, বিয়ের পর অভিনয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন অমৃতা।
স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সংসারেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। কারিনা কাপুর খান, সোহা আলী খানের সঙ্গে বহু পার্টিতে দেখা পাওয়া যায় তার। ২০০৯ সালে শাকিল লাদাক নামে এক তরুণকে বিয়ে করেন অমৃতা। পেশায় শিল্পপতি তিনি।
তবে শাকিলকে বিয়ের আগে থেকেই চিনতেন অমৃতা। তখন যদিও অন্য এক তরুণের প্রেমে মজেছিলেন নায়িকা। শাকিল তখন ছিলেন অমৃতার বন্ধুস্থানীয়।
বলিউড সূত্রে জানা যায়, কলেজে পড়াকালীন অমৃতার প্রিয় বান্ধবী ছিলেন নিশা রানা। নিশার সঙ্গে প্রেম করতেন শাকিল।
প্রিয় বান্ধবীর প্রেমিক বলে কথা! তাই শাকিলের সঙ্গে বেশ দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্ক ছিল অমৃতার। ২০০৬ সালে নিশাকে বিয়ে করেন শাকিল। নিশা এবং শাকিলের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অমৃতা। সেই সময় ক্রিকেটার উসমান আফজলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অমৃতা। তবে উসমানের সঙ্গে অমৃতার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল তাদের। অন্য দিকে, বিয়ের পর নিশার সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ ছিল না অমৃতার। ঘটনাচক্রে দুই বছর পর শাকিলের সঙ্গে দেখা হয় অমৃতার। তখন শাকিল ছিলেন বাঁধনছাড়া।
বলিউডের অভ্যন্তরীন সূত্রে জানা যায়, শাকিলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর অমৃতা জানতে পারেন যে নিশার সঙ্গে শাকিলের ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। সংসার ভেঙেছিল শাকিলের। উসমানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর সেই সময় ‘সিঙ্গল’ ছিলেন অমৃতাও। সেই সময়ে শাকিলের সঙ্গে অমৃতার সম্পর্ক নতুন ভাবে দানা বাঁধতে শুরু করে। গুঞ্জন ছিল, অমৃতা এবং শাকিলের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পায়। সে কথা জানাজানি হওয়ার পর প্রিয় বান্ধবীকে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করেন নিশা। নিশার দাবি, অমৃতাই নাকি তার এবং শাকিলের সংসারে তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন। অমৃতার সঙ্গে শাকিলের পরকীয়ার কারণেই নিশার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
তবে নিশার দাবি উড়িয়ে দেন অমৃতার মা জয়েস পলিকার্প। মেয়ের সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি তিনি। জয়েসের দাবি, অমৃতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগেই শাকিল তাকে নিশার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন। নিশার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তা জানার পরেই শাকিলের সঙ্গে অমৃতার বন্ধুত্ব গভীর হতে শুরু করে। প্রিয় বান্ধবীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করেননি অমৃতা। বলিউডের গুঞ্জন, নিশার সঙ্গে নাকি অমৃতার বন্ধুত্ব এই তিক্ততার কারণেই ভেঙে গিয়েছিল। তারা নাকি আর একে অপরের মুখ পর্যন্ত দেখেননি। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে মুম্বাইয়ের এক বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় শাকিলকে বিয়ে করেন অমৃতা। বিয়ের এক বছর পর ২০১০ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন অমৃতা। ২০১২ সালে আরও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
২০০২ সালে বলিউডে অভিষেক হয় অমৃতার। ‘কিতনে দূর কিতনে পাস’ সিনেমার মাধ্যমে। প্রথম সিনেমা খুব বেশি ব্যবসাসফল হয়নি৷ কিন্তু প্রচারের আলোয় এসেছিলেন অমৃতা৷ অমৃতাকে সর্বশেষ দেখা যায় ২০০৯ সালে ‘এক থো চান্স’ নামের হিন্দি সিনেমায়। এই সিনেমার পর আর কোনও সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি অমৃতাকে। ছয়বছর পর ছোট পর্দায় ‘কুছ তো হ্যায় তেরে মেরে দরমিয়া’ নামের ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। তার পর থেকে অভিনয়জগৎ থেকে দূরেই রয়েছেন অমৃতা।
এসএন