কেজিএফ সিরিজ দিয়ে রাতারাতি আলোচনায় উঠে এসেছিলেন শ্রীনিধি শেঠি। তেলেগু, তামিল আর কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল নতুন আশার আলো। ভেবেছিলেন অনেকে— সাউথ ইন্ডিয়ার পরবর্তী বড় তারকা হবেন তিনিই। কিন্তু কয়েক বছর আর হাতে গোনা কয়েকটা ছবির পর আজও প্রশ্ন রয়েই গেছে— শ্রীনিধি কি সত্যিই নিজের পথ খুঁজে পেয়েছেন, নাকি আরও একবার হারিয়ে যেতে বসেছেন চেনা ছকের গ্ল্যামার জগতেই।
কেজিএফ ছবিতে তার চরিত্র যতটা আলো ছড়িয়েছিল, তা শুধু নায়কের গ্ল্যামার প্যারেডে যোগ করে। তারপর তামিল ছবি কোবরা আর হিট থ্রি— দুটোতেই চেষ্টা কম ছিল না, তবু গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে তিনি ছিলেন না। ফলে শ্রীনিধির নামের পাশে “ব্যাংকেবল লিড” তকমা এখনও অধরা।
সবচেয়ে বড় কথা, এখন শ্রীনিধি যেই ছবিতেই চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন, তা স্টারকেন্দ্রিক, চরিত্র নয়। শোনা যাচ্ছে, তিনি অজিতের নতুন ছবিতে আছেন। বড় বাজেট আর চমক থাকলেও আবারও কি তিনি গ্ল্যামার গার্ল হয়েই থেকে যাবেন? ইন্ডাস্ট্রির কানাঘুষো বলছে, এভাবে গেলে প্রচার মেললেও অভিনয়ের সুযোগ ফসকে যাবে বারবার।
তবে একেবারে হতাশার নয় খবর। শ্রীনিধি নিজেই নিজের প্রচারে সক্রিয়। একাধিক ভাষার ছবিতে নিজের দখল দেখাচ্ছেন। থ্রিলার, রোম্যান্স আর বাণিজ্যিক সিনেমার মিশেলে বৈচিত্র খুঁজছেন।
সবচেয়ে বড় বাজি হতে পারে তার আসন্ন তেলুগু ছবি তেলুসু কাদা। এখানে তিনি থাকছেন মূল নারী চরিত্রে, বিপরীতে সিদ্ধু। রোম্যান্টিক ড্রামার এই ছবিতেই তার সামনে সুযোগ— গ্ল্যামারের গন্ডি পেরিয়ে গল্পের মেরুদণ্ড হয়ে ওঠার।
তাই শ্রীনিধি শেঠির ভক্তদের অপেক্ষা— অজিতের ছবিতে বড় পর্দায় কতটা জায়গা পান তিনি, আর তেলুসু কাদা দিয়ে নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন কি না। কারণ ভিউজ আর চেহারার মায়া দিয়ে কয়েক বছর চলে যায় ঠিকই, কিন্তু দীর্ঘ দৌড়ে বাঁচে গল্প আর চরিত্র। শ্রীনিধির লড়াই তাই এখন সেখানেই।
কেএন/টিকে