'নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে ইসি'

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তবে দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার প্রধান উপদেষ্টার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন সাংবাদিক রাজিনি বৈদ্যনাথন। সাংবাদিকের প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।

তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, যার মধ্যে নির্বাচনও পড়ে। দলটি নির্বাচনে থাকবে কি না সেটি নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার। সাংবাদিক জানতে চান, শেখ হাসিনার দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন কি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর খুব সুন্দরভাবে এটি ব্যাখ্যা করেছেন।

অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থ কোনো নির্দিষ্ট দল নয়, বরং সব মানুষের অংশগ্রহণ। মানুষ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে সেটাই অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন।

সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানতে চাওয়া হয় শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে কিভাবে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, বিচার শুরু হয়ে গেছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা চাই তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় বিচারের মুখোমুখি হোন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করব। যেভাবে অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনা হয় সেভাবেই হবে।

এটা সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়া। তাকে ধরে আনার কোনো ক্ষমতা তো আমাদের নেই। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কেন আরও উদ্যোগী হচ্ছেন না প্রফেসর ইউনূস এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমি জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার সঙ্গে দেখা করেছি, কী করা উচিত সে বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং এদের ফেরার জন্য সহায়তা চেয়ে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। সেক্ষেত্রে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান। সবাই এখন শুধু খাবার ও অন্যান্য সহায়তা নিয়েই ব্যস্ত, কিন্তু এদের নিজ দেশে কিভাবে ফেরত পাঠানো যাবে সে বিষয়ে কেউ আলাপ করছে না।

আরআর

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নারীর স্বপ্ন নিয়ে কটাক্ষ, জবাবে সোচ্চার মানুশি চিল্লার Jun 22, 2025
img
কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ইরানে ট্রাম্পের হামলার নির্দেশের ব্যাখ্যা দাবি করলেন চাক শুমার Jun 22, 2025
img
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা চালাতে ৩৭ ঘণ্টা উড়ল বি-২ বোমারু Jun 22, 2025
img
মেধাহীন করে জাতিকে শাসন করতেই মেধাপাচার: সালাহউদ্দিন আহমদ Jun 22, 2025
img
'নেতানিয়াহুর দেশের সহায়তাকারী দেশগুলোও হামলার শিকার হবে' Jun 22, 2025
img
সোমবার সচিবালয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে যাচ্ছে কর্মচারীরা Jun 22, 2025
img
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধির তথ্য নেই: আইএইএ Jun 22, 2025
img
ইরানে মোসাদের জন্য তথ্য পাচারকারীকে ফাঁসি Jun 22, 2025
img
দক্ষিণ ভারতের বড় শিক্ষা বলিউডের জন্য, 'রুটেড' মানে গ্রামীণ নয় বাস্তব Jun 22, 2025
img
আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে স্থগিত এনসিপি কমিটি Jun 22, 2025
img
কানাড়া সিনেমার থিয়েটার বিপর্যয়, নতুন আশার নাম কি ইউটিউবে? Jun 22, 2025
img
নবীন কর্মকর্তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে: সেনাপ্রধান Jun 22, 2025
img
আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করল নেতানিয়াহুর দেশ Jun 22, 2025
img
'শপথ চাই ইশরাক ভাইয়ের', স্লোগানে মুখর নগর ভবন Jun 22, 2025
img
আত্মরক্ষার জন্য ‘সব বিকল্প’ সংরক্ষণে আছে : সাইয়েদ আব্বাস আরাঘচি Jun 22, 2025
img
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে রিয়া মনিকে হাতেনাতে ধরলেন হিরো আলম, প্রেমিককে গণপিটুনি Jun 22, 2025
img
৩ বিভাগে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা Jun 22, 2025
img
চট্টগ্রামে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে প্রাণ গেল ট্রাক চালকের, আহত ৪ Jun 22, 2025
img
ইরানে হামলার পর নিজেকে ধন্যবাদ দিলেন ট্রাম্প Jun 22, 2025
img
ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান Jun 22, 2025