তামিল চলচ্চিত্রে শুরু হয়েছে এক নতুন যুগ। যেখানে নামী পরিচালকরা ক্যামেরার পেছন থেকে উঠে আসছেন সরাসরি আলো ঝলমলে পর্দায়। যদিও আগে থেকে কিছু ব্যতিক্রম থাকলেও, এখন এই ধারা আর আলাদা কোনো ঘটনা নয় — বরং এক নতুন আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
এই পরিবর্তনের পুরোভাগে আছেন লোকেশ কানাগরাজ ও নেলসন দিলীপকুমার। দুজনই সমসাময়িক তামিল চলচ্চিত্রের সবচেয়ে আলোচিত ও সফল পরিচালক। এবার তাঁরা শুধু পরিচালনায় নয়, সরাসরি অভিনয়ের মঞ্চেও নাম লিখিয়েছেন।
পরিচালক গৌতম বাসুদেব মেনন, এস জে সূর্যাহ, মাইস্কিন — এরাও ইতিমধ্যেই নিজেদের অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাদের পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং গল্প বলার ভঙ্গি অভিনয়েও এক অনন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। পর্দায় তাঁদের উপস্থিতি এখন বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন লোকেশ কানাগরাজ। যিনি ‘মাস্টার’ ও ‘বিক্রম’ ছবির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তারুণ্যের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। এবার তিনি একেবারে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘রকি’ ও ‘সানি’ খ্যাত পরিচালক অরুণ মাথেশ্বরন-এর নতুন ছবিতে। চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, এটি হবে সম্পূর্ণ অ্যাকশনভিত্তিক চরিত্র।
অন্যদিকে, ‘ডক্টর’ ও ‘জেইলর’ খ্যাত পরিচালক নেলসন দিলীপকুমারও এবার বড় পর্দায়। তিনি থাকছেন ভেত্রিমারান পরিচালিত ‘ভাদা চেন্নাই’ ধারাবাহিকের পরবর্তী ছবিতে, যেখানে প্রধান চরিত্রে থাকবেন সিম্বু। নেলসনের চরিত্রটিও হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ, এখন আর পরিচালকেরা শুধুমাত্র অতিথি চরিত্রে সীমাবদ্ধ থাকছেন না — বরং পূর্ণাঙ্গ চরিত্রে নিজেদের উপস্থাপন করছেন।
এই ধারার জনপ্রিয়তা শুধু পরিচালকদের প্রতি দর্শকের আগ্রহ থেকেই নয়, বরং তাদের অভিনয়ে বাস্তবতা, আবেগ ও গভীরতা দর্শকদের মুগ্ধ করছে। পরিচালকেরা যে গল্প বলেন, তা তারা নিজেই নিজের শরীর ও মুখের ভাষায় ফুটিয়ে তুলছেন — এইটাই দর্শকদের মধ্যে এক ভিন্ন আকর্ষণ সৃষ্টি করছে।
এখন বলা চলে, ‘পরিচালক-হতেই-নায়ক’ কেবল আর একটি ব্যতিক্রম নয় — বরং সমসাময়িক তামিল চলচ্চিত্রের একটি শক্তিশালী প্রবণতা। গল্প বলার অভিজ্ঞতা, চরিত্রের গভীরতা এবং দর্শকের কৌতূহলের মিশেলে তৈরি হচ্ছে নতুন যুগের চলচ্চিত্র ধারা — যেখানে পরিচালকরাও হয়ে উঠছেন পর্দার তারকা।
আরআর/এসএন