সপ্তাহান্তে কলম্বিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়া ৫৭ সেনাকে একটি সামরিক অভিযানে মুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এই সেনাদের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কাউকা এলাকায় আটক করা হয়েছিল, যা ইএমসি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এ গোষ্ঠী কোকেন উৎপাদন ও পাচারের সঙ্গে জড়িত।
মন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ জানান, ‘অপারেশন জাস্টিস’ নামে অভিহিত এই অভিযানে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, সেনাদের ‘অপহরণের’ পেছনে ইএমসির নির্দেশ ছিল এবং স্থানীয়দের দিয়ে এ কাজ করানো হয়।
এ ছাড়া সেনাবাহিনীর দাবি, ইএমসির একজন সন্দেহভাজন বিদ্রোহীকে শনিবার গ্রেপ্তারের প্রেক্ষিতে এ ঘটনার সূত্রপাত। সেই সন্দেহভাজনকে হেলিকপ্টারে তুলে নেওয়ার প্রস্তুতির সময় শতাধিক মানুষ সেনাদের ঘিরে ফেলে।
পর দিন আরো একটি সামরিক ইউনিটকে আরো বড় একটি দলের হাতে আটক করা হয় বলে জানান কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর জেনারেল এরিক রদ্রিগেজ।
বিবিসির তথ্যমতে, স্থানীয়দের হাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের আটক হওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। তবে এত বড়সংখ্যক সেনা সদস্য একসঙ্গে আটক হওয়ার ঘটনা বিরল। আগে এমন পরিস্থিতিতে সাধারণত স্থানীয়রা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সেনাদের ছেড়ে দিত।
তবে এবার তারা কোনো মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি। ফলে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করে অভিযান চালিয়ে ৫৭ সেনাকে মুক্ত করা হয় এবং ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
সেনাবাহিনীর ধারণা অনুযায়ী, ওই এলাকার ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কোকা গাছ চাষের ওপর নির্ভরশীল। এই গাছ থেকেই কোকেন তৈরি হয়। তাই ওই অঞ্চলে সেনা উপস্থিতিকে অনেকেই সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখেন।
এ ছাড়া এলাকায় বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীরও অবস্থান রয়েছে, যারা কৃষক ও জমির মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে এবং অবৈধ খননকাজ ও কোকেন পাচারে জড়িত।
এফপি/ টিকে