ফ্রান্স সরকার আজ থেকে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, বাসস্টপ, স্কুলের আশপাশসহ শিশুদের উপস্থিতি থাকতে পারে এরকম উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের প্যাসিভ স্মোকিং (পরোক্ষ ধূমপান) থেকে রক্ষা করা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলা।
নিষিদ্ধ স্থানগুলোর তালিকায় রয়েছে— সমুদ্র সৈকত, পার্ক, পাবলিক গার্ডেন, বাসস্টপ, স্কুল, লাইব্রেরি, সুইমিং পুল এবং বিভিন্ন স্পোর্টস ভেন্যুর আশপাশ। এসব স্থানে ধূমপান করলে আইন ভঙ্গকারীকে ১৩৫ ইউরো (প্রায় ১৫৩ মার্কিন ডলার) জরিমানা গুনতে হবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসেনি ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলোর বাইরের খোলা অংশ (টেরাস) এবং ইলেকট্রনিক সিগারেট। অর্থাৎ এসব স্থানে এখনো ধূমপান ও ভ্যাপিং চালু থাকবে।
সরকার জানিয়েছে, এই উদ্যোগ ২০২৩-২০২৭ সালের জাতীয় অ্যান্টি-টোব্যাকো কর্মসূচির অংশ। ফ্রান্সে প্রতি বছর প্রায় ৭৫,০০০ মানুষ ধূমপানজনিত জটিলতায় প্রাণ হারান।
সেটি বিবেচনায় সরকার ধূমপানকে সামাজিকভাবে ‘স্বাভাবিক’ আচরণ হিসেবে দেখা প্রতিরোধে সচেষ্ট।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শিশুদের পরিষ্কার বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ধূমপানের প্রতি তাদের আগ্রহ কমাতে এই পদক্ষেপ সময়োপযোগী। ভবিষ্যতে ইলেকট্রনিক সিগারেটের নিকোটিন মাত্রা ও বিভিন্ন ফ্লেভার নিয়ন্ত্রণেও কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে তরুণদের মধ্যে ভ্যাপিংয়ের প্রবণতা কমানো যায়।
এই পদক্ষেপকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্বাগত জানিয়ে বলছেন, এটি শুধু শিশু নয়, পুরো সমাজের জন্যই দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এমআর/টিকে