বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আপনারা এমন লোককে নির্বাচিত করবেন যিনি উন্নয়ন প্রকল্পটা সঠিকভাবে ব্যয় করবেন, সঠিক প্রকল্পে ব্যয় করবেন। তিনি এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে তাকে পালিয়ে যেতে হয়। তিনি যাতে এখানে থাকেন এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম পরিদর্শন কালে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আশা করি আমরা একটা সফল নির্বাচন করতে সক্ষম হবো। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, স্মরণ কালের সব চেয়ে ভালো নির্বাচন করতে, ভালো নির্বাচন মান, যে ভোটার ভোট দিতে যাবেন তিনি ভোট দিতে পারবেন, বিভিন্ন প্রার্থীর পুলিং এজেন্ট তারা থাকতে পারবেন, ভোটের পরে সবার সামনে উন্মুক্তভাবে ভোট গণনা করা হবে। আমরাতো কোনো দলের সমর্থক না, যেই আসুক আমরা তাকে স্বাগত জানাবো। কিন্ত এইটা যদি আমরা করতে না পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যতে খুব খারাপ হবে।
জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ নিয়ে তিনি বলেন, এখানে গ্যাস ছিল এটা আগে কেউ জানতো না। এখান ৫ এমএমসি গ্যাস পাওয়া গেছে, এই কুপ থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আরেকটি কুপ খনন করা হবে। কুপটি খনন করলে আরও ভালোভাবে বিষয়টি জানা যাবে। এর আগে টু ডি, ত্রি ডি সার্ভেয়ার করে এটার সম্ভবতা আরও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করবো। এখানে যে গ্যাস পাওয়া যাবে সেটা নষ্ট করবো না। এখানে একটি মোবাইল প্রসেসিং প্ল্যান আনবো। কূপের গ্যাস সরাসরি ব্যাবহার করা যায় না। রিফাইন প্রসেস করতে হয়। যেহেতু এখানে বড় কোনো বিনিয়োগ হবে না, যদি বড় কোনো ডিপোজিট পাওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে। এজন্য এখানে একটা মোবাইল প্রসেসিং প্ল্যান আনবো, সেটা থেকে গ্যাসটাকে প্রসেস করে এখানে স্থানীয়ভাবে শিল্প কারখানায় কভার করবো।
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাপেক্সর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম, জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হকসহ আরও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে কূপ খনন এলাকায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভা করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে জামালপুরের মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাসের উপস্থিতি পায় বাপেক্স। পরে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সিসমিক উপাত্ত ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ক্লোজ গ্রিড সিসমিক সার্ভে হয়। বাপেক্স সেই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কূপ খননে ১৬৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
কেএন/টিকে