জার্মানিতে প্রতি ২৫ জনে ১ জন শরণার্থী, আশ্রয়নীতিতে কঠোর হচ্ছে সরকার

জার্মানিতে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে রেকর্ড হারে। ২০২৪ সালে দেশটিতে স্বীকৃত শরণার্থী ও সুরক্ষা পাওয়া মানুষের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৩ লাখে। যা মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ইনফোমাইগ্রেন্টসের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির প্রতি ২৫ জনে একজন এখন শরণার্থী। এই বাস্তবতায় আশ্রয়নীতিতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে নতুন সরকার।

ইউরোপের সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জার্মানি। সম্প্রতি ইনফোমাইগ্রেন্টসের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির প্রতি ২৫ জনে এখন একজন স্বীকৃত শরণার্থী। ২০২৪ সালে দেশটিতে আশ্রয়প্রার্থী ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ লাখে যা আগের বছরের তুলনায় এক লাখেরও বেশি।

ইউক্রেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকে পালিয়ে আসা মানুষেরাই এই সংখ্যার বড় অংশ। জনসংখ্যায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছে এই শরণার্থী ঢল, যার চাপ সামলাতে নতুন সরকার নিচ্ছে কড়া পদক্ষেপ।

জার্মানিতে অবস্থানরত শরণার্থীদের গড় বয়স মাত্র ৩২ বছর। যা জার্মানদের গড় বয়স ৪৫ বছরের তুলনায় অনেক কম। নারী শরণার্থীর হার ৪৫ শতাংশের বেশি, এবং ইউক্রেনীয়দের ক্ষেত্রে এটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। ১৮ বছরের নিচে শিশু-কিশোরের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ। ফলে এই তরুণ জনগোষ্ঠী শরণার্থী কাঠামোতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করছে।

এমন পরিস্থিতিতে নতুন চ্যান্সেলর ফ্রের্ডিক ম্যার্ৎস আশ্রয় নীতিতে বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিবেশী নয়টি দেশের সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে অনেক শরণার্থীকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি পারিবারিক পুনর্মিলনের অধিকারও স্থগিত করা হয়েছে, বিশেষ করে অস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া শরণার্থীদের ক্ষেত্রে। সমালোচকদের মতে, এতে মানবিক সংকট আরও গভীর হতে পারে।

সরকারের লক্ষ্য, প্রতি বছর আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা এক লাখের নিচে নামিয়ে আনা। যদিও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ছয় লাখেরও বেশি। বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে নিয়মিত অভিবাসনের পথ সুসংহত করতে হবে। কেননা জার্মানির অর্থনীতিতে এখনও বিদেশি দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা ব্যাপক।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জনগণের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মুশফিকুর রহমানের Jul 07, 2025
img
আন্দোলনে বিকল্প যোগাযোগের গোপন ছক ফাঁস করলেন শিবির সভাপতি Jul 07, 2025
img
৭ জুলাই: ঢাকায় বাংলা ব্লকেডের ১ বছর Jul 07, 2025
img
মাহমুদুর রহমানের মায়ের মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোকপ্রকাশ Jul 07, 2025
img
কুয়াকাটায় এক ইলিশ বিক্রি সাত হাজার সাতশ টাকায় Jul 07, 2025
img
বাল্কহেড আটকিয়ে চাঁদাবাজি, গোয়াইনঘাটে ৬ জন গ্রেফতার Jul 07, 2025
img
শেখ হাসিনা কি দিল্লি থেকে লন্ডনে যাচ্ছেন? Jul 07, 2025
img
রাজধানীর দুই স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ Jul 07, 2025
img
স্বজন হারালেন জামায়াত আমির, জামায়াতের শোক প্রকাশ Jul 07, 2025
img
জামায়াত আমিরের শাশুড়ি ইন্তেকাল করেছেন Jul 07, 2025
img
বিদায়ী সংবর্ধনা শেষে গ্রেফতার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান Jul 07, 2025
img
অসুস্থ চালকের জায়গায় গাড়ি চালালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ Jul 06, 2025
img
যৌথ অভিযানে ধরা পড়ল আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার Jul 06, 2025
img
প্রয়োজনে পর্যাপ্ত ডকুমেন্টস সরবরাহ করা হবে : ফরহাদ Jul 06, 2025
img
টলিপাড়ার দ্বন্দ্বে কাজহীন অনির্বাণ Jul 06, 2025
img
কোনো দেশে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারিত থাকার নজির নেই : সালাহউদ্দিন Jul 06, 2025
img
রেকর্ড জয়ে সিরিজে সমতা ভারতের Jul 06, 2025
img
ব্যাংকক থেকে হাতিরঝিল : সংবর্ধনা নিয়ে ফুটবলারদের বার্তা Jul 06, 2025
img
লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা, চলছে গোলাগুলি Jul 06, 2025
img
৫ আগস্ট গণভবন জয় করেছি, এবার জাতীয় সংসদও জয় করব : নাহিদ Jul 06, 2025