তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্প বহুদিন ধরেই ভারতের নানা প্রান্তের অভিনেত্রীদের জন্য এক শক্তিশালী লঞ্চপ্যাড হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে উত্তর ভারতের অনেক অভিনেত্রী এখান থেকে নিজেদের যাত্রা শুরু করে বড় পরিসরে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে সম্প্রতি কর্ণাটকের অভিনেত্রীরা তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে চাইলেও সবার ভাগ্য সমান উজ্জ্বল হয়নি। যেখানে রাশ্মিকা মান্দানা এক অনন্য ব্যতিক্রম হয়ে উঠেছেন, বাকিদের লড়াই চলছে নানা চ্যালেঞ্জের সঙ্গে।
রাশ্মিকা মান্দানা নিজের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বেছে বেছে কাজ করেছেন। ‘গীতা গোবিন্দম’ আর ‘পুষ্পা’—এই দুই ছবিই তাকে বিশাল পরিচিতি দিয়েছে। তার ব্যক্তিত্ব, সময়জ্ঞান আর ভাগ্যের সমন্বয়ে আজ তিনি প্যান-ইন্ডিয়া তারকা। চরিত্র বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার সূক্ষ্ম বিচারবোধ আর বহুমুখী প্রতিভাই তাকে সর্বস্তরে জনপ্রিয় করেছে।
অন্যদিকে, ‘কান্তারা’ দিয়ে ঝলক দেখানো সপ্তমী গৌড়া নিজের তেলুগু অভিষেক করেছেন ‘থাম্মুড়ু’ ছবিতে ‘রত্না’ চরিত্রে। তবে এখানে তার উচ্চারণ ও সংলাপ বলার দুর্বলতা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। ‘কান্তারা’তে যে প্রতিশ্রুতি দেখা গিয়েছিল, তা ধরে রাখতে পারেননি। এখন সবার নজর ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’-এর দিকে, যেখানে তার পুনরুত্থানের সুযোগ রয়েছে।
রুক্মিণী বসন্তের ক্ষেত্রেও গল্পটা মিশ্র। নিখিল সিদ্দার্থের বিপরীতে তেলুগু ডেবিউ হলেও বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি। তবে তিনি এখন এনটিআর ও প্রশান্ত নীলের আসন্ন ছবির দিকে তাকিয়ে আছেন, যা হতে পারে তার জন্য বড় ব্রেক।
শ্রীলীলা শুরুতে নিজের প্রতিভা দিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছবির পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিযোগিতার দুনিয়ায় টিকে থাকতে হলে তাকে সতর্কভাবে স্ক্রিপ্ট বেছে নিতে হবে, নিজের ফোকাস ধরে রাখতে হবে। নাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।
তেলুগু ইন্ডাস্ট্রি সবসময় প্রতিভাবানদের জায়গা দিয়েছে। কিন্তু এখানে সাফল্য শুধু প্রতিভা বা পরিশ্রমেই আসে না। সময়ের সঠিক ব্যবহার, চরিত্র নির্বাচন, নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া আর ভাগ্যের মেলবন্ধন—সবই জরুরি। রাশ্মিকার ক্ষেত্রে এই সবকিছু একসাথে ঘটেছিল। আর অন্যদের জন্য লড়াই এখনো বাকি।
এফপি/এস এন