বিশ্ব রাজনীতির শক্তির ভারসাম্যে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটিয়েছে চীন। অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সামরিক শক্তি ও কূটনৈতিক দক্ষতায় দেশটি আজ যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চীনা যুদ্ধবিমানের সফলতা কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে কৌশলগত অবস্থানই তার বড় প্রমাণ। আর এই অভাবনীয় উত্থানের স্থপতি হচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ধারণা করা হচ্ছে, অর্থনৈতিক খাতে চীন ২০২৬ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে। রপ্তানি বাজারে আধিপত্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ শ্রমশক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ভিত্তিতে চীন এখন অর্থনৈতিক নেতৃত্বে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর মাধ্যমে আফ্রিকা, এশিয়া ও ইউরোপজুড়ে তাদের বিনিয়োগ বেড়েছে বহুগুণ। সামরিক খাতে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র, বিমান ও রকেট প্রযুক্তিতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে শক্ত অবস্থান ও জিবুতিতে ঘাঁটি স্থাপন করে চীন আজ সমুদ্রপথেও শক্তিশালী। ইউক্রেন যুদ্ধ রাশিয়াকে চীনের দিকে আরও ঝুঁকিয়ে দিয়েছে, যেখানে চীন তাদের জ্বালানি ও প্রযুক্তি সহায়তায় রাশিয়াকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আবার, ইরান-সৌদি আরব চুক্তিতে মধ্যস্থতা করে কূটনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বেইজিং।
পাশাপাশি চিকিৎসাক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ ও ইট্রিয়াম-৯০ উৎপাদনে অগ্রগতি নতুন দিগন্ত খুলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। পাশাপাশি হাইড্রোজেন জ্বালানি ও স্মার্ট ট্রাম নির্মাণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতাও বিশ্বে আলোচিত। শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চীন শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, বরং বৈশ্বিক ব্যবস্থায় এক নতুন বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছে। তার কৌশলী নেতৃত্বে দেশটি এখন অর্থনীতি, প্রযুক্তি, সামরিক শক্তি ও কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত।
টিকে/