গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত আরও ১৩৪ ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ১৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ভূখণ্ডটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া সহায়তা নেওয়ার সময় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৯৯ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলের বর্বর সামরিক অভিযানে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ৫৯ হাজার ২৯ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধকে তারা ‘গণহত্যামূলক অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরও ১৩৪টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ১৫৫ জন। এ নিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪২ হাজার ১৩৫ জনে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “অনেক মরদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে কিংবা রাস্তায় পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা অনেকক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারছেন না।”

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সহায়তা নেওয়ার সময় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৬৫০ জনের বেশি। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এ পর্যন্ত মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ১ হাজার ২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬ হাজার ৫১১ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

চলতি বছরের মার্চের ১৮ থেকে ইসরায়েল নতুন করে গাজায় হামলা শুরু করে, যদিও জানুয়ারিতে একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। নতুন এই দফার হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ১৯৬ জন নিহত এবং ৩০ হাজার ৯৪ জন আহত হয়েছেন।

গত বছরের নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ায়োভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

এছাড়া গাজায় ইসরায়েলের এই হামলার কারণে দেশটির বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা চালানোর’ অভিযোগে মামলা চলছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে)।
 
এমআর/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
২০২৬ বিশ্বকাপ ঘিরে আলোচনায় আর্জেন্টিনার নতুন জার্সি Nov 06, 2025
img
আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় সমন্বিতভাবে গড়ে তুলতে চায় বিএনপি : আমিনুল হক Nov 06, 2025
img
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে : আলতাফ হোসেন চৌধুরী Nov 06, 2025
img
সালমানের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার মামলা Nov 06, 2025
img
গণসংযোগে নিহত সরওয়ার বিএনপির কেউ নন : আমীর খসরু Nov 06, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিলেন বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী Nov 05, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে : বাবুল Nov 05, 2025
img
চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের Nov 05, 2025
img
কুসিকের বিএনপিপন্থি সাবেক কাউন্সিলররা সমর্থন জানালেন মনিরুল হককে Nov 05, 2025
img
রাতে ব্রুজের বিপক্ষে অনিশ্চিত লামিনে ইয়ামাল! Nov 05, 2025
img
মুঞ্জ্যা’র মূল চরিত্রে ভাবা হয়েছিল শ্রদ্ধা কাপুরকে! Nov 05, 2025
img
নেত্রকোনার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক গ্রেপ্তার Nov 05, 2025
img
পদ্মার ন্যায্য পানি বণ্টনের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ Nov 05, 2025
img
মামদানির সাফল্যে তার মায়ের বার্তা Nov 05, 2025
img
এনসিপি অচিরেই তাদের ভুল বুঝতে পারবে: মুনতাসির মাহমুদ Nov 05, 2025
img
নতুন অধ্যায়ের সন্ধানে শ্রীলীলা! Nov 05, 2025
img
পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করতে পারে রাশিয়া Nov 05, 2025
img
আমির-সালমানের অদ্ভুত জুটি, আজও দর্শকদের প্রিয় Nov 05, 2025
img
নির্বাচনেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে: জামায়াত আমির Nov 05, 2025
img
সংগীত চর্চায় সৌদি সরকার নিচ্ছে বড় পদক্ষেপ Nov 05, 2025