তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছোনোর আগেই ধর্মতলা সমাবেশ মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। পরনে সুতোর কাজ করা লাল-সাদা শাড়ি। চোখে রোদচশমা, ঠোঁটে চওড়া হাসি।
ক্যামেরা দেখে ‘ভিক্ট্রি’ চিহ্ন দেখালেন। দলীয় নেত্রী বক্তৃতা শুরু করেছেন। একের পর এক বিষয় নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানাচ্ছেন। ঠিক সেই সময়েই বেরিয়ে গেলেন শতাব্দী রায়। একা শতাব্দী নন, বেরিয়ে গেলেন শত্রুঘ্ন সিন্হাও। কেন? জানা গেল, প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তারা। শুশ্রূষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় নাকি তাদের! খোঁজ নিল আনন্দবাজার ডট কম।
সন্ধ্যায় অভিনেত্রী-সাংসদ শতাব্দী জানান, তীব্র গরমে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, মনে হচ্ছিল অচেতন হয়ে পড়বেন। প্রথম দিকে অবশ্য এতটা শরীর খারাপ লাগেনি। তবে রোদ বাড়তেই অসুস্থ বোধ করেন।
শতাব্দীর কথায়, ‘‘আজকে এত গরমে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমার এত শরীর খারাপ লাগচ্ছিল যে, মনে হচ্ছিল অচেতন হয়ে পড়ব। প্রথম মলয় ঘটককে মজা করে বলছিলাম, জ্ঞান হারালে ধরো, তার পর সত্যিই অচেতন হয়ে পড়ার মতো অবস্থা হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে বেরিয়ে আসি।’’ তবে এখন অনেকটা সুস্থ তিনি। বাড়িতে বিশ্রামে আছেন বলেই জানালেন অভিনেত্রী। শত্রুঘ্ন সিন্হাকেও এসএসকেএমে পাঠানো হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা করেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কেএন/টিকে