ইসরায়েলবিরোধী পক্ষপাত এবং চীনের প্রভাব বৃদ্ধির অভিযোগে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের ৯০ দিনের এক পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পর্যালোচনায় ইউনেস্কোর লিঙ্গ বৈচিত্র্য ও সামাজিক কর্মসূচি, ইসরায়েল বিষয়ে অবস্থান এবং চীনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি মুখপাত্র আনা কেলি এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ সংস্থাটি বিভাজনমূলক ‘উইক’ সংস্কৃতি ও সামাজিক এজেন্ডা ছড়িয়ে দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট সব সময় আমেরিকাকে অগ্রাধিকার দেবেন।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে, ইউনেস্কো বারবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছে, কিন্তু হামাসের কর্মকাণ্ডের কোনো নিন্দা জানায়নি। এমনকি ইহুদি ধর্মীয় স্থানগুলোকেও ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।
এ ছাড়া ইউনেস্কোতে চীনের আর্থিক প্রভাব ও কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দেশটির রাষ্ট্রীয় মতাদর্শ ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছে হোয়াইট হাউস। বিশেষ করে উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে চীনা ইতিহাস ব্যাখ্যায় পক্ষপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রাম্প ২০১৭ সালেও একই কারণে ইউনেস্কো থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে আবার সদস্যপদে ফিরিয়ে আনেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ইউনেস্কোর সদস্য থাকবে। এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্যপদ বাতিল হবে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ইউনেস্কো ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ যথাযথ ও প্রয়োজনীয়।”
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছে:
* বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা * জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ * প্যারিস জলবায়ু চুক্তি * ইরান পরমাণু চুক্তি * ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ * গ্লোবাল কম্প্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন * আইএনএফ পারমাণবিক চুক্তি * ওপেন স্কাইজ ট্রিটি * অস্ত্র বাণিজ্য চুক্তি
ট্রাম্প পষ্য, সংস্থাগুলো বা চুক্তিগুলো মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থি।
পিএ/টিএ